কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৪১৮ বস্তা নকল টিএসপি সার জব্দ করেছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। জব্দকৃত সারগুলো গুদামে সংরক্ষণের পর ঢাকায় অবস্থিত মৃত্তিকা উন্নয়ন গবেষনাগারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়ন বাজারে একটি ট্রাকে লোড করা ২৮৩ বস্তা টিএসপি সার আনলোড করার আগেই উলিপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) কাজী মাহমুদুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকভর্তি সারগুলো জব্দ করেন।
ওই বাজারের রওশন আলীর দোকান ঘর থেকে আরও ১৩৫ বস্তা সার জব্দ করেন। আটকের পর ওইদিন রাতেই সারগুলো কৃষি অফিসের গোডাউনে মজুদ করা হয়। আটকের সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, ঐ বাজারের প্রত্যক্ষদর্শী ওবায়দুল, শাহালম, সামছুল আলম ও নুরনবী জানায়, ট্রাকভর্তি সারগুলো নকল টিএসপি যা ”বাংলা টিএসপি” নামে ব্যবসায়ীরা ক্রয় করে কৃষকদের কাছে টিএসপি সার হিসেবে বিক্রি করে প্রতারণা করে আসছে।
তাদের মতে এই সার উৎপাদন ও বিপনন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ১৩৫ বস্তা ব্যবসায়ী রওশনের ঘর থেকে উদ্ধার হলেও তার বিরূদ্ধে আইনি কোন ব্যবস্থা নেয়া হলনা কেন ?
এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী মাহমুদুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান, সারগুলো জব্দের সময় কোন মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং সারগুলো নকল কিনা, সেটি না জেনে তাৎক্ষনিক ক্রোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। নির্বহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর ধারণা সারগুলো চট্রগ্রাম থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছিল।
এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী মাহমুদুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান, সারগুলো জব্দের সময় কোন মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং সারগুলো নকল কিনা, সেটি না জেনে তাৎক্ষনিক ক্রোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। নির্বহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর ধারণা সারগুলো চট্রগ্রাম থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছিল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোশাররফ হোসেন জানান, জব্দকৃত সার ল্যাব টেষ্টের জন্য বুধবার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, ট্রাক কিংবা চালককে ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে সঠিক কোন জবাব দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ।