এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সামনে দাঁড়িয়ে রোগীদের হাতে থাকা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানাটানি করেন তাঁরা। কখনো আবার সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে স্বজনদের সঙ্গে দেনদরবার করেন। গতকাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা ১১ জনকে আটক করে র্যাব। পরে তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, ‘দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতে র্যাবকে সহযোগিতা করতে বলেছি। তারা অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করে। পরে তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। র্যাব জানায়, অভিযানে আটক হওয়া ব্যক্তিরা হাসপাতালে দালাল হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে তাঁরা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ, অর্থোপেডিক বিভাগ ও সার্জারি ওয়ার্ডের সামনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানাটানি করেন। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বিভিন্ন ওষুধের দোকান, বেসরকারি হাসপাতাল ও রোগনির্ণয় কেন্দ্রের লোক।
র্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আটককৃত দালাল চক্রের সদস্যরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁরা মূলত গ্রামের দরিদ্র, অসহায় ও চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পর্কে অনভিজ্ঞ লোকদের টার্গেট করেন। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার অপ্রতুলতার কথা বর্ণনা করে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের মধ্যে একধরনের ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৩ জনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে মো. ইকবালকে ৭ দিন, নূরুল কাদের ১৫, অনিল ধর ১৫, সানি দে ৭, মেহেদী ৭, শাহজান ১৫, আকাশ সরকার ৭ ও মোশাররফ হোসেনকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইফতেখার ও মো. বোরহানকে এক হাজার টাকা করে এবং আবদুর রহিমকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।