
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট বিপ্লবকে টেকসই ও অর্থবহ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে এক দফায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ লক্ষ্মীপুরের মান্দারী বাজার সিএজি স্টেশনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্মীপুর জেলার মান্দারী ইউনিয়ন আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মান্দারী ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অধ্যাপক মাসরুর আলমের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে এডভোকেট নজির আহমেদ, সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নূর নবী ও সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাসির মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রহমান ও মোস্তফা মোল্লা, চন্দ্রগঞ্জ থানা আমীর মাওলানা নূর মোহাম্মদ রাসেল ও সেক্রেটারি রেজাউল ইসলাম খান সুমন, জামায়াত নেতা মাওলানা কাউসার হামিদ, মাওলানা আব্দুল খালেক, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ নূরুল হুদা, অধ্যাপক আব্দুর রহমান, মাওলানা ইকবাল হোসাইন পাটোয়ারি, মাওলানা কবির আহমদ খাঁন, মো. বেলাল হোসাইন ও মাস্টার শাহ আলম প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, বিগত প্রায় ১৬ বছর ধরে বাকশালী ও ফ্যাসীবাদী শক্তি জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছিলো। তারা পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছিলো। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে দেশকে রীতিমত বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। জনগণের সকল নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিলো। কিন্তু ছাত্র- জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারের লজ্জাজনক পতন হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্বহীন বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন করে বিভেদের সুর বেজে উঠেছে। মূলত যারা এসব কথা বলে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন তারা ফ্যাসীবাদকেই উৎসাহিত করছেন। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই সকলকে আত্মঘাতি ও অনৈক্য সৃষ্টিকারী বক্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি দেশ ও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসীবাদের পতনের পর পুরো জাতি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও স্বৈরাচারের দোসর ও প্রতিভূশক্তি এতে খুশী হতে পারেনি বরং তারা নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের নিকট প্রতিবেশী বিষয়টিকে মোটেই কাক্সিক্ষত ও স্বাভাবিক মনে করেনি। ফলে দেশের সীমান্ত পরিস্থিতিকে রীতিমত অস্থিতিশীল করে তোলা হয়েছে। ভারতীয় সেনা প্রধান দাবি করেছেন যে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। এতেই প্রমাণ হয় যে, সীমান্ত পরিস্থিতি কী কারণে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। তিনি ভারতীয় সেনা প্রধানকে প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে দেশে গত ১৬ বছর ধরে গণতান্ত্রিক সরকার ছিল? তিনি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পতিত স্বৈরাচারের পক্ষে কথা না বলে সৎপ্রতিবেশী সূলভ আচরণ করার আহবান জানান। তাহলে উভয় দেশের মধ্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপিত হবে।
হাজিরপাড়া ইউনিয়ন জমায়াতের কর্মী সম্মেলন
লক্ষ্মীপুরের হাজিরপাড়া ইউনিয়নের উদ্যোগে এক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহা. হাফিজুর রহমান সজীবের পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমীর এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া।
বক্তব্য রাখেন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও এডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রহমান, মোস্তফা মোল্লা চন্দ্রগঞ্জ থানা আমীর মাওলানা নূর মোহাম্মদ রাসেল, সেক্রেটারি রেজাউল ইসলাম খান সুমন, সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা ইকবাল হোসাইন ও ডা. মুহাম্মদ কাউসার হামীদ, ১১ নং হাজিরপাড়া ইউনিয়নের সাবেক আমীর কাজী হুময়ুন কবির ও নায়েবে আমীর অব্দুর রহমান, হাজিরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুহাম্মদ আনোয়ার এলাহী ও ঢাকাস্থ চন্দ্রগঞ্জ থানা ফোরামের সেক্রেটারি আবু তাহের মিলন প্রমূখ।