বিজিবি সদস্যদের মারধর করে দুটি মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে

আপলোড সময় : ১৯-০১-২০২৫ ১০:৩৪:২৩ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৯-০১-২০২৫ ১০:৩৪:২৩ অপরাহ্ন



মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মারধর করে দুটি ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে মহিষ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এদিন দিনগত রাত দেড়টায় বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের রাজাবাড়ি বিশেষ ক্যাম্পের মোঃ শাহ আলম বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন।

বিজিবির দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মোঃ মুকুল (৫৫), তার ছেলে হাসান (২৮), বিয়ানাবোনা গ্রামের মোঃ আক্কাশ (৫৯), তার জামাতা মোঃ জীবন (৩৩), মোল্লাপাড়া গ্রামের মোঃ বাবলু (৫০), তার ছেলে মোঃ ডলার (৩২), একই গ্রামের নয়ন (৩৫), বিজয়নগর গ্রামের হামিদ (৩৫), মোঃ জনি (৩৫), তার ভাই মোঃ টনি (৩৩), বিয়ানাবোনা গ্রামের মোঃ জনি (৪০) ও পবার গহমাবোনা গ্রামের সিজার (৩০)। এদের মধ্যে জনি ও টনি দেওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই টুনুর ছেলে। ৫ আগস্টের পর তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপকর্মের অভিযোগ আছে। আক্কাস দেওপাড়া ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি। বাবলু ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। ঘাটিয়াল বাবলু চোরাপথে ভারতীয় গরু-মহিষ আনার ব্যবস্থা করেন বলে অভিযোগ আছে। নয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। পবা থেকে যাওয়া সিজারও ঘাটিয়াল। হুন্ডি কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিজিবি সদস্যরা খবর পান যে নাজিরপুর গ্রামের গরু-মহিষের ব্যবসায়ী মুকুল ভারত থেকে চোরাপথে দুটি মহিষ এনে বাড়ির পাশের জঙ্গলে রেখেছেন। এ খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা অভিযানে যান। তখন মুকুল কৌশলে পালিয়ে যান। মুকুলকে না পেলেও বিজিবি সদস্যরা মহিষ দুটি জব্দ করে রাজাবাড়ী বিশেষ ক্যাম্পে আসছিলেন। আসার পথে রাজাবাড়ী এলাকায় বিএনপির এই নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং লাঠিশোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করেন এবং মহিষ নিয়ে যেতে বাঁধা দেন। তারা হুমকি দেন যে, মহিষ ছেড়ে না দিলে বিজিবি সদস্যদের লাশ ফেলে দেওয়া হবে। একপর্যায়ে তারা অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের ধাক্কা দেন এবং কিল-ঘুষি মেরে টেনে-হিঁচড়ে মহিষ দুটি ছিনিয়ে নেন। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর এ মামলা করা হয়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আক্কাশের মোবাইলে ফোন করা হলে তার ভাই মোঃ শরীফ ধরেন। তিনি বলেন, আমার ভাই বাড়িতে নাই। মহিষ নিয়ে আসলে কী হয়েছে আমি সঠিক বলতে পারব না।

গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, বিজিবিকে মারধর করে ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা দানেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা ছিনিয়ে নেওয়া মহিষ দুটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।


 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]