বনানী (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ মাঠে ‘জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫’ এর আয়োজন করা হয়েছে। উচ্চস্বরে গান-বাজনা বাজিয়ে ও রাজনৈতিক স্লোগান দিয়ে চলতে থাকে ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের মধ্যে ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ব্যানার দেখতে পাওয়া যায়।
দলে দলে নেতাকর্মীদের ব্যান্ড পার্টি নিয়ে বাজনা বাজিয়ে মিছিল নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেখা যায়। এতে আতঙ্কে ছিলেন ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে সাত কলেজের আগামীকাল ও পরশুদিনের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বিপাকে পরেছেন তিতুমীর কলেজের ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থীরা। তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ২টি হল। দুটি হলে ৫০০র অধিক নারী শিক্ষার্থীদের অবস্থান।
জানা যায়, আগামীকাল রবিবার সাত কলেজ ২০২৩ সনের ১ম বর্ষ পরিসংখ্যান নন মেজর পরীক্ষা ও ২০ তারিখ সোমবার ২০২৩ সনের ২য় বর্ষের পরীক্ষা শুরু।
তবে উচ্চস্বরে মাইক ও বাদ্যযন্ত্র বাজানোয় পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে অভিযোগ করেন তারা। হলের নারী শিক্ষার্থীরা বলেন, পরীক্ষার আগে এমন পরিবেশে পড়াশোনা করা প্রায় অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। শিক্ষার্থীরা বলেন, পরীক্ষার জন্য পড়তে বসলে উচ্চ শব্দে মনোযোগ ধরে রাখা যাচ্ছে না। পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ভীষণ সমস্যা হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, শান্ত পরিবেশে পড়ার অধিকার আমাদেরও আছে। কিন্তু এমন শব্দ দূষণের কারণে পড়ালেখা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
তিতুমীরের শিক্ষার্থী ইমরুল হাসান বলেন, তিতুমীরের মাঠ বহিরাগতদের জন্য অনুমতি দিলো কেন? এক ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে আমরা কি আরেক ফ্যাসিবাদের দাসত্ব করবো নাকি? এজন্যই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রক্ত দিয়েছি?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিতুমী কলেজের প্রধান সমন্বয়ক সুজন মিয়া বলেন, যতটুকু শুনলাম কলেজ প্রশাসন কয়েকজন ছাত্রকে ম্যাচ আয়োজন করার অনুমতি দিয়েছে। আরেকটু বাড়িয়ে যদি বলি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নামে একটা সংগঠন আছে তারা যদি কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করত তাহলেও জিনিসটা মানা যেত। কিন্তু বহিরাগতরা রীতিমতো স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছে। হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে, এর মধ্যে এসব কার্যক্রম অবশ্যই দৃষ্টিকটু। কার অনুমতি নিয়ে এসব হচ্ছে আমরা জানতে চাই।
তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মন্ডল বলেন, আমার কাছে কয়েকজন শিক্ষার্থী এসেছিল তারা ফুটবল খেলতে চায় বললো। আয়োজন কিভাবে করবে, আনুষ্ঠানিক বিষয় বিস্তারিত আমাকে বলেনি। যেহেতু ছুটির দিন তাই আমরা কোন কিছু বলিনি। তবে আগামীকাল এবং পরশুদিন পরীক্ষার মাঝে এভাবে উচ্চস্বরে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজনের বিষয়ে তিনি বলেন, শব্দ কম যেন করতে পারে সে বিষয়টি দেখছি।