নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুর রব বলেছেন, ইউনিট সংগঠনই হচ্ছে ইসলামী আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি। তাই ইউনিটগুলোকে সক্রিয় ও গতিশীল করার জন্য ইউনিট দায়িত্বশীলদের সকল প্রকার মেধা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা ও কর্মতৎপরতা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। তিনি ইসলামী আন্দোলনের যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইউনিট দায়িত্বশীলদের সব সময় প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে শের-ই-বাংলা নগর দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত ইউনিট দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর আবু সাঈদ মন্ডলের সভাপতিত্বে এবং থানা কর্মপরিষদ সদস্য সোহেল খানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান,হাতিরঝিল অঞ্চল পরিচালক হেমায়েত হোসেন, সহকারী পরিচালক মু. আতাউর রহমান সরকার। শিক্ষাশিবিরে শুরুতেই দারসূল কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ড. মাওলানা হাবিবুর রহমান।উপস্থিত ছিলেন থানা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য জামিল বিন হোসাইন, আব্দুজ জাওয়াদ, মাওলানা রুহুল আমিন ও মোঃ তাজউদ্দিন প্রমূখ।
আব্দুর রব বলেন, ইক্বামাতের দ্বীনের দায়িত্ব কোন নফল ইবাদত নয় বরং আল্লাহর খলিফা হিসাবে আমাদের প্রত্যেকের ওপরই অপরিহার্য। প্রত্যেক নবী-রাসূলগণই একই দায়িত্ব নিয়ে দুনিয়াতে প্রেরীত হয়েছিলেন। বিশ্বনবী (সা.) ও একই দায়িত্ব নিয়ে প্রেরীত হয়ে সফলভাবে সে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তাই আমরাও এ দায়িত্ব থেকে মুক্ত নই বরং জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানো আমাদের ওপর ফরজ। একাজে আঞ্জাম দেওয়ার জন্য ইউনিট সংগঠন থেকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য প্রতিটি ঘরে দাওয়াত পৌঁছানোর কোন বিকল্প নেই। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের গণসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে এবং সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলী চিহ্নিত করে সেসবের সাধ্যমত সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে দ্বীনের বিজয় সহজ থেকে সহজতর হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের পথ কখনোই ফুল বিছানো ছিল না; এখনো নয়। যুগে যুগে যারাই মানুষের মাঝে দ্বীনে হক্বের দাওয়াত দিয়েছেন তাদের ওপরই নেমে এসেছে অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন। নবী-রাসূলগণও এ থেকে আলাদা ছিলেন না। বিশ্বনবী (সা.)-এর ওপর চালানো হয়েছে নির্মম জুলুম-নির্যাতন। এমনকি শিয়াবে আবি তালিবে তাকে দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। তিনি এবং তাঁর আসহাসগণ ক্ষুধা বৃত্তি নিবারণের জন্য বাবলা গাছের পাতা খেতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাই অতীতের ধারাবাহিকতায় সকল জুলুম-নির্যাতন ও বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই ইসলামকে গালেব করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকলকে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
তেজগাঁও উত্তরে ইউনিট দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবির
তেজগাঁও উত্তর থানার উদ্যোগে হাজী মরণ আলী মাদ্রাসা মিলনায়তনে ইউনিট দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তর থানা আমীর হাফেজ মাওলানা আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী রাসিবুল হক নাসিফের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর সেক্রেটারী ড. মু. রেজাউল করীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসেন, মহানগরী প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার ও তেজগাঁও দক্ষিণ থানা আমীর ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদী। অনুষ্ঠানে দারস পেশ করেন শিল্পাঞ্চল থানা সাবেক আমীর হাফেজ মিজানুর রহমান। দিনব্যাপী শিক্ষা শিবিরে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্যগণ।
পল্লবী থানা দক্ষিণ জামায়াতের শিক্ষা বৈঠক
পল্লবী থানা দক্ষিণের উদ্যোগে ইউনিট দায়িত্বশীলদের নিয়ে এক শিক্ষা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। থানা আমীর আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জাবের হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন এবং ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম। দারসুল কুরআন পেশ করেন উলামা বিভাগের জোন পরিচালক মাওলানা আসাদুর রহমান। বক্তব্য রাখেন থানা নায়েবে আমীর অধ্যাপক রুহুল আমিন। উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ।
গুলশান থানা পূর্ব জামায়াতের সদস্য ও অগ্রসর কর্মী শিক্ষা বৈঠক
গুলশানের স্থানীয় একটি অডিটোরিয়ামে শুলশান থানা পূর্ব জামায়াতের সদস্য ও অগ্রসরকর্মী শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াসিন আরাফাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী জোন পরিচালক হেদায়েত উল্লাহ ও গুলশান পূর্ব থানা আমীর মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। থানা সেক্রেটারি আবদুল মোতালেব মঈনের পরিচালনায় শাহজাদপুর অঞ্চলে এবং থানা কর্মপরিষদ সদস্য মুফতি রহমতুল্লাহর ও মাওলানা ওমর ফারুকের পরিচালনায় নদ্দা কালাচাঁদপুর অঞ্চলে দুই ভাগে শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা তোফায়েল আহমেদ, আবদুল মোতালেব টিপন, আহসান উল্লাহ, শুরা সদস্য ফারুক হোসেন, হাসনাইন আমিন রাসেল, ইব্রাহিম খলিল, টিম সদস্য জানে আলম রাজন, কাজী আমিনুল ভাই ও মিনহাজ বিন মোরশেদ প্রমূখ।