কে এম সোহেব জুয়েল বরিশাল প্রতিনিধি: ঢাকা থেকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের দাদা বাড়িতে বেড়াতে এসে মোঃ ইমরান শিকদারের পুত্র ছাফোয়ান শিকদার- ৬ কে মৃত বরন করত হল।
বুধবার ১৫ জানুয়ারি দুপুরে জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ইমরানের পুত্র সাফোয়ানকে ধরে নিয়ে আটকে রাখে একই গ্রামের প্রতিবেশি লোকমানের পুত্র নোমান সাফোয়ানকে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশের এক জমিতে ফেলে রাখে ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে স্হানীয়রা সাফোয়ানের লাশ দেখতে পেয়ে গৌরনদী থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ এসে সাফোয়ানের লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করেন।
ওই দিনই শাফোয়ান হত্যায় জড়িত লোকমানের পুত্র নোমান ২৪ ও একই গ্রামের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক ৪৮ কে র্্যাব পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৈথ অভিযান চালিয়ে আটক করে বরিশাল জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
সাফোয়ানের পোষ্টমার্টাম শেষে ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার শাফোয়ানের লাশ তার গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসলে স্হানীয়রা বাদ আসর জানাজার নামাজ শেষে নিজ পারিবারিক কবর স্হানে শিশু সাফোয়ানের দাফনের কাজ শেষ করেই উত্তেজিত জনতা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে শাফোয়ান হত্যাকারি খুনি নোমান ও ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হকের বসত বাড়ি ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুরিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
এ খবরে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আগুন নিভানোর কাজে সহয়তা করেন। আগ্নি সংযোগের খবরে গৌরনদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু আবদুল্লাহ খানসহ সেনাবাহিনী পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন মহলের কর্মকর্তারা ঘটনা স্হানে ছুটে এসে অগ্নি নিভৃত করন সহ আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় স্হানীয়দের মাঝে শিশু শাফোয়ান হত্যার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করার ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। অপর দিকে এই অপরাধের ঘটনায় বাকি আসামীদের অতি দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক প্রশাসনের সর্ব মহলে দুষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিও করছেন তারা।