রানীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও:
রানীশংকৈলে রবিশস্য সরিষার সঙ্গে মৌমাছি পালন করে মধু চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এতে একদিকে যেমন সরিষার ফলন বাড়ছে, অন্যদিকে বাড়তি আয়ের উৎস হচ্ছে খাঁটি মধু। ফলে সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মধু বিক্রি করেও কৃষক লাভবান হচ্ছেন।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ বছর প্রায় ৬৪২৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে রানীশংকৈল উপজেলায়।
রানীশংকৈল উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সহিদুল হক জানান, সরিষাখেতে মৌমাছি থাকলে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫-২০শতাংশ ফলন বাড়ে।
কারণ হিসেবে তিনি জানান, মৌমাছি সরিষা ফুলে যে পরাগায়ন ঘটায়, তাতে সরিষার দানা ভালো হয় এবং ফলনও বাড়ে। যে সরিষাখেতে মৌমাছি নেই, সেখানে সরিষার ফলন বেশ কম হয়।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, এই এলাকায় আগে এভাবে মধু চাষের প্রচলন ছিল না । কয়ক বছর থেকে এই উপজেলায় সরিষার সাথে মধু চাষ শুরু হলে ব্যাপক লাভবান হয় কৃষক ফলে সরিষা চাষের সাথে মধু চাষের বিষয়টি এলাকায় সাড়া ফেলে।
রানীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বারা এলাকার কৃষক মানিক চন্দ্র বলেন, আমি দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ সরিষা চাষ করছি। এ বছর আমি ৫ একর জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা।
একই এলাকার কৃষক অরুন্দ রায় বলেন, আমি দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ সরিষা চাষ করছি। ভাল ফলন হওয়ায় এ বছর এক একর জমিতে সরিষা চাষ করেছি।
মধু চাষী আ:সাত্তার জানান, আমরা দিনাজপুর বীরগন্জ থেকে এসেছি সরিষা খেত থেকে মধু চাষ করার জন্য। বলিদ্বাড়া এলাকায় সরিষা চাষ বৃদ্ধির ফলে মধু চাষে মোট ৬০ টি বাক্স আছে। প্রতি ৫ দিন যাবৎ আমরা মধু সংগ্রহ করে থাকি। এক কেজি মধু ৫০০ টাকায় বিক্রী করে থাকি।