নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমেই সত্যিকারের গণতন্ত্রের প্রতিফল ঘটতে পারে। এ ব্যবস্থা পৃথিবীর বহু উন্নত দেশেই প্রচলিত আছে।
জনাব মোবারক হোসাইন ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের দায়িত্বশীলদের নিয়ে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জনাব আ: মতিন, অধ্যক্ষ আলী মহসিন, সম্মানিত জেলা আমীরবৃন্দ যথাক্রমে অধ্যাপক আবুল হাসেম, জনাব আতাউর রহমান, এড. রুহুল আমীন, জনাব এম বি বাকের, অধ্যাপক গোলাম রসূল, জনাব তাজউদ্দিন খান, অধ্যাপক আলী আজম প্রমুখ।
জনাব মুবারক হোসাইন আরও বলেন, সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃত। এ ব্যবস্থায় নির্বাচনে দুর্নীতির সম্ভাবনা অনেক কম। বর্তমানের নির্বাচনে যেভাবে টাকা বিতরণ ও ব্যালট ডাকাতিসহ নানা ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকে তা বন্ধ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্যই দেশের মানুষ সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল নির্বাচন ব্যবস্থা চায়।
এ নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণ কোন ব্যক্তিকে ভোট না দিয়ে দল ও ঐ দলের আদর্শের পক্ষে ভোট দেয়। এ ব্যবস্থার মাধ্যমেই সঠিকভাবে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটতে পারে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমেই সঠিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সহজ হতে পারে। দেশের জনগণ কোন দল কিংবা কোন আদর্শের বা কোন নেতাদের নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত করতে চায় তা সহজে ব্যক্ত করতে পারে।
আমরা দেশে দুর্নীতিমুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। দেশের সত্যিকারের উন্নয়ন ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ এবং শোষণমুক্ত অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবার আগে নির্বাচন ব্যবস্থা এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে যাতে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। যাতে জনগণ স্বাধীনভাবে নিজেদের ইচ্ছামত নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। এ ধরনের একটি নির্বাচনই দেশবাসীর কাম্য। এ ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হবে।