গলাচিপা সেতু : নামে আছে কামে নাই

আপলোড সময় : ০৭-০১-২০২৫ ০৩:২২:৩৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৭-০১-২০২৫ ০৩:২২:৩৬ অপরাহ্ন



সঞ্জীব কুমার সাহা, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ ‘গলাচিপা সেতু’ নামে আছে কামে নাই। পটুয়াখালী জেলার বহুল কাঙ্খিত গলাচিপা সেতুটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে একনেকে অনুমোদন হয়েছে এবং প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় ‘গলাচিপা সেতু’। কাজটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর। সর্বশেষ সংশোধনীতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২১ দশমিক ২৫৯৯ কোটি (পাঁচশ একুশ দশমিক দুই পাঁচ নয় নয় কোটি) টাকা। পটুয়াখালীর রামনাবাদ নদীর ওপর প্রস্তাবিত ‘গলাচিপা সেতু' নির্মাণের মাধ্যমে বরিশাল বিভাগীয় সদর ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে গলাচিপা উপজেলার নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ আরও সহজতর হবে। প্রতিদিন এই নদী থেকে ফেরি পারাপার হয়ে জেলা, বিভাগ ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে শতাধিক যানবাহন। ফেরি ও ট্রলারে পারাপারে সময় নষ্টের পাশাপাশি নানামুখী ভোগান্তি পোহাচ্ছে বিভাগীয় শহর ও রাজধানীগামী যাত্রীরা। মুমূর্ষু রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরি পারাপারের জন্য। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক প্রস্তাবিত গলাচিপা উপজেলার জেলা মহাসড়কের (জেড-৮৮০৬) ৭০তম কিলোমিটারে রামনাবাদ নদীর ওপর ‘গলাচিপা সেতু’ নির্মাণ ৫২১ কোটি ২৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ সালে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও এখনো সেতু নির্মাণের কাজ শুরু না হওয়ায় উৎকন্ঠায় দিন পার করছেন গলাচিপা, দশমিনা ও রাঙ্গাবালী উপজেলার ১০ লাখ মানুষ।

স্থানীয় পবিত্র কুমার নাগ বলেন, জীবনের পঞ্চান্ন বছর পার করেছি। গলাচিপা শহরের অপর প্রান্তে হরিদেবপুর গ্রামে আমার বাড়ি। প্রায় প্রতিদিনই জীবন জীবিকার তাগিদে খেয়া পারাপার হতে হয়। ১৯৯৬ সাল থেকে শুনে আসছি রামনাবাদ নদীর ওপরে সেতু হবে। এই শুনি সেতু হচ্ছে আবার এই শুনি হচ্ছেনা। এই নিয়ে আমরা  দ্বিধাদ্ব›েদ্ব আছি। শুধু মাপঝোপ আর মাটি নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষাই দেখে আসছি অনেক বছর ধরে। মৃত্যুর আগে সেতু দেখে যেতে পারবো কিনা জানিনা।

অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মো. সোহাগ বলেন, গত ত্রিশ বছর ধরে শুনে আসছি গলাচিপা সেতুটি হবে কিন্তু বাস্তবে কোন কর্যক্রম চোখে পড়ছে না। রোগীভর্তি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরির জন্য। এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্ধেসঢ়;র পথ ওপারে হরিদেবপুর ফেরিঘাট। ফেরি পারাপারে এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় লাগে। ব্রিজ হলে মাত্র এক মিনিটেই নদী পার হওয়া যায়। ব্রিজটি হোক এটা আমাদের জোর দাবি। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) পটুয়াখালীর তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদ করিম জানান, প্রকল্পের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ চলমান। অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই নির্মাণকাজ শুরু হবে।



 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]