এম মনির চৌধুরী রানা
চট্টগ্রামে বোয়ালখালীতে গত বিশ পঁচিশ দিন আগে ও ছিল সবজীর দাম চড়া ৫০-৭০ টাকা কেজির নিচে কোন সবজির ছিল না। বর্তমানে সেই সবজির দাম অর্ধেক কমে আসায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। উৎপাদন ভালো হওয়ায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন বাজার শীতকালীন সবজিতে এখন সয়লাব। ফলে দামে স্বস্তি ফেরায় স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। গত শনিবার কালাইয়ার হাট ও গতকাল (৫ জানুয়ারি) রবিবার শাকপুরা চৌমুহনী বাজার, বেঙ্গুরা বাজার, গোমদন্ডী সিও অফিস সহ আশেপাশের কয়েকটি খুচরা বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
শাকপুরা চৌমুহনী বাজারের কাঁচা বাজারে সবজি কিনতে আসা মোহাম্মদ আজিজ বলেন, ১৫/২০ দিন আগে ও বোয়ালখালীতে সবজির দাম কেজিতে ২০, ৩০ বা ৪০ টাকা পর্যন্ত বেশি ছিল। এখন সেটা নেই। কিছু সবজিতে হয়তো ৫, ১০ টাকার পার্থক্য আছে। সেটা তেমন বেশি কিছু না।
সবজি বিক্রেতা মোসলেম উদ্দিন বলেন, শীতকালীন সবজির ফলন হয়েছে ভালো। সবখানেই এখন সবজি পাওয়া যায় ৷ এজন্য দাম কমে যাচ্ছে৷ যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে আরো কমবে। তবে রপ্তানি করতে পারলে কৃষকরা ভালো দাম পেতো ৷
ছেনোয়ারা নামের আরেক ক্রেতা বলেন, আগে ৩-৪ শ টাকার সবজি কিনলে চোখে পড়তো না। এখন ১০০- ১৫০ টাকায় থলে ভর্তি সবজি পাওয়া যাচ্ছে। তাই কিনতে ভালোই লাগছে।শীতের শুরুতে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে ফুলকপি ও বাঁধাকপি। তবে এসবের দাম প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমেছে।
বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। কিছুদিন আগেও এর দাম ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। শিমের দাম কমেছে তিন থেকে চারগুণ। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। মৌসুমের শুরুতে এর কেজি ছিল ১২০ টাকা। এ ছাড়া বেগুন রকমভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা, শসা, বরবটি, খিরা, দেশি গাজর ও টমেটো ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি। এছাড়া কাঁচামরিচ ৪০, ধনে পাতা ৪০, পেয়াজ পাতা ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।আঁটি প্রতি ১০ টাকা কমেছে শাকের দামও। কপিশাক, লালশাক ১০, ১৫ টাকা এবং পালংশাক সরিষাশাক ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রেতারা বলেন, এখন বাজারে প্রচুর সবজি। কম দামে কিনে কম দামেই বিক্রি করছি। দাম বেশি থাকলে আমাদের খরচও বেড়ে যায়। দাম কম হলে ক্রেতারাও সন্তুষ্ট থাকেন। তবে সবজির দাম কমলেও কেজিতে ৩০-৪০ টাকা বেড়েছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগীর কেজি ছিল ১৯০, লেয়ার ৩০০, সোনালি মুরগী ২৯০ ও দেশি মুরগী ৫০০-৫৫০ টাকা বিক্রি করলেও সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি মুরগির কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেড়ে গেছে।
এব্যাপারে বাজার নজরদারিজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাধারণ ক্রেতারা। এদিকে বাজারদর সহনশীল রাখতে মনিটরিং করেছে উপজেলা প্রশাসন । যেকোনও অজুহাতে যাতে কেউ যেন কোন পণ্যের দর বাড়তি না নেয় সেজন্য উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রি খীসা। তিনি বলেন, অতি লাভের আশায় যদি কেউ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম নেয়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।