বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি:
বানারীপাড়ায় চাউলাকাঠী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ শূন্য হওয়ায় গত ৩১ডিসেম্বর বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাদ্রাসার সভাপতি মহোদয় এম.এম.এ জলিল-কে অস্থায়ীভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তু তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করার পূর্বেই স্বাস্থ্যগত অসুস্থতার কারন দেখিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে স্বেচ্ছায় স্বহস্তে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে গত ০১/০১/২০২৫ ইং তারিখ অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র লিখে জমা দেন।
এ সময় ঘটনাস্থলে মাদ্রাসার সকল শিক্ষক এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাও. ফজলুর রহমান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও একাধিক সংবাদ কর্মী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু গত ০৩/০১/২০২৫ইং তারিখ সাবেক দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাও. মোঃ আঃ হাইয়ান ও নারী কেলেঙ্কারীতে অভিযুক্ত মলুহার ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. মোঃ মিজানুর রহমান এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ কুদ্দুস গণের প্ররোচনায় পড়ে তার স্বেচ্ছায় দেয়া পদত্যাগপত্র-কে অস্বীকার করে 'বরিশাল ক্রাইম নিউজ' ও ০৪ জানুয়ারীর দৈনিক 'আজকের বার্তা' পত্রিকায় প্রতিবেদন দেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, প্রতিহিংসা পরায়ন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এহেন দূরাচার সম্পন্ন, ফ্যাসিস্টের দোসর এম.এম.এ জলিল এর প্রতি শিক্ষক ও অভিভাবক এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও অসন্তোষ বিরাজ করছে। তার মুখে সর্বদা অশ্লীল ও ইসলাম বিদ্বেষী এবং উস্কানী মূলক কথা বিরাজমান। এমনকি বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ফ্যাসিস্টদের দোসর হিসেবে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, দেশ নায়ক জনাব তারেক রহমান এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর শহীদ মাও. মতিউর রহমান নিজামী ও শহীদ আল্লামা দোলোয়ার হোসেন সাঈদী সম্পর্কে বিষদগার ও উষ্কানী মূলক বক্তব্য প্রদান করতেন। এমনকি জুলাই এর গণঅভূথ্যানের ছাত্র জনতার ও সমন্বয়কদের বিরুদ্ধেও বিষোদগার করেন। এহেন ব্যক্তিকে শিক্ষক, কর্মচারী, সাধারণ জনগণ ও অভিভাবক কেহই চায় উক্ত পদে দাখিল করতে অস্বীকৃতি জানান।