মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আমানুল্লাহ ইমন (২২) খুনের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। অভিযুক্ত মোঃ আরাফাত হোসেন নাহিদ রাজশাহীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আমানুল্লাহকে খুনের বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে।
বুধবার (১ জানুয়ারী) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), মোঃ রফিকুল আলম। তিনি জানান, গোদাগাড়ীতে থানাধীন নারায়ণপুর গ্রামের মোঃ কামরুজ্জামানের ছেলে নিহত আমানুল্লাহ ইমনকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তরা হলো: মোঃ আরাফাত হোসেন নাহিদ (২৪), সে গোদাগাড়ীর নলত্রী গ্রামের মোঃ আজিজুর রহমানের ছেলে এবং মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফ (২৫, সে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর থানাধীন সাতনইল দক্ষিণপাড়ার মোঃ আব্দুল হান্নানের ছেলে। তারা পেশায় ট্রাকচালক এবং ট্রাক চালকের হেলপার।
তিনি আরও বলেন, এই ক্লুলেস খুনের ঘটনায় দুইজনের সম্পৃক্ততা পেয়ে আরাফাত হোসেন নাহিদকে গোদাগাড়ী এবং আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফকে চাঁপাই নবাবগঞ্জের সদর থেকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এম এ কুদ্দুস ও সঙ্গীয় ফোর্স। পরে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর ২০২৪) রাজশাহীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করেন।
অভিযুক্ত নাহিদের জবানবন্দিতে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সন্ধ্যার পর নিহত আমানুল্লাহর কাছে পাওনা ১০হাজার টাকা সংগ্রহের জন্য সে তার হেলপার আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফকে পাঠালে তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্রোধান্বিত হয়ে সে ও আবু বক্কর সিদ্দিক আলিফ আমানুল্লাহকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
এদিন আমানুল্লাহ গোদাগাড়ীর নলত্রী গ্রামের মোঃ আব্দুল খালেকের রথিরামের ভিটায় আসলে পিছন থেকে নাহিদ জাপটে ধরে এবং আবু বক্কর গেঞ্জি দিয়ে মুখ বেঁধে জুতার ফিতা দিয়ে গলায় ফাঁস দিলে শ্বাসরোধ করে। এরপর আবু বক্কর বেøড দিয়ে আমানুল্লাহর গলায় পোচ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুইজনই পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গত (৩০ ডিসেম্বর ২০২৪) নিহতের পিতা মোঃ কামরুজ্জামান বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।