ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির নলছিটিতে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জোর করে অবৈধভাবে শত একর জমি দখলে নিয়ে মাছের ঘের করার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে যুবদল নেতা সজিব ফকিরের ৫ একর জমি রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। ১৫ বছর ধরে জোর করে মাছ চাষ করে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খান মনিরুজ্জামান বিল্পব। মঙ্গলবার সকালে নলছিটি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত যুবদল নেতা ব্যাবসায়ী সজিব ফকির।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, নলছিটি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খান মনিরুজ্জামান বিল্পব ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কুলকাঠি ইউনিয়নের কাপড়কাঠি গ্রামে বিভিন্ন মানুষের শত একর জমি দখল করে মাছের ঘের করেন। এতে অনেকে বাধা দিলে তাদের নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘেরে মাছ চাষ করে আসছেন তিনি। ২০১৪ সালে কুলকাঠি ইউনিয়ন যুবদলের নেতা সজিব ফকিরের ৫ একর জমি জোর করে দখলে নিয়ে ঘের সম্প্রসারণ করে। সজিবের পরিবার এতে বাধা দিলে সজিবের নামে একটি মিথ্যা মামলা করেন বিল্পব। মামলার কারণে সজিব এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। পরে তিনি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে আরো ক্ষিপ্ত হয় বিল্পব ও তাঁর চাচাতো ভাই রফিক খান। তাঁরা সজিবকে অকথ্যভাষায় গালাগাল করে। এলাকায় আসলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে বিল্পব তাকে ৮ লাখ চাঁদা দিলে জমি ছেড়ে বলে জানায়।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। মাত্র ২০ হাজার টাকা না দেওয়ায় সে সজিবের মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে বিল্পবের অবৈধ দখলে থাকা জমি, নগদ টাকা ও মোটরসাইকেল ফেরত চাইলে বিল্পবের চাচাতো ভাই রফিক খান লোকজন নিয়ে সজিব কে মেরে ফেলার জন্য আটক করে। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ এসে তাকে রক্ষা করে। এ অবস্থায় বিল্পবের অবৈধ দখলকৃত জমি, নগদ টাকা ও মোটর সাইকেলটি ফেরত পেতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন সজিব ফকির।