মোঃ অপু খান চৌধুরী: ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ৮ ইউনিয়নে ভূমিসংক্রান্ত সেবা পেতে গিয়ে মানুষকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে সফটওয়্যার অটোমেশনে নতুন জটিলতার কারণে নামজারি, পরচা, খাজনার রসিদ কাটতে না পারায় ব্রাহ্মণপাড়ায় গত একমাস জমি কেনাবেচা অনেকটা বন্ধই রয়েছে। ভুক্তভোগী সেবাগ্রহীতা ও ভূমি অফিসের কর্মীরা বলছেন, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ও নামজারি সেবায় দ্বিতীয় দফায় সফটওয়্যার চালুর পর থেকে এ ভোগান্তি শুরু হয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর নতুন সফটওয়্যার চালুর পর প্রতিদিনই নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। উল্লেখ্য, ভূমিসংক্রান্ত কাজের গতি বাড়াতে পাঁচটি সফটওয়্যার একত্র করে মানোন্নয়ন করা হয়েছে।
১ ডিসেম্বর ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের আওতায় চারটি সফটওয়্যারের মানোন্নয়ন এবং একটি নতুন উদ্ভাবিত সফটওয়্যার জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
জানা যায়,শুধু ব্রাহ্মণপাড়া নয় সারা দেশেই নামজারি ও খাজনা পরিশোধ নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ছেন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ও বিদেশগামীরা। জটিল রোগে আক্রান্ত অনেক ব্যক্তির পরিবার জমি বিক্রি করে রোগীর চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। বর্তমানে ভূমিসংক্রান্ত সেবা পেতে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় অনেকে সময়মতো জমি বিক্রি করতে পারছেন না।
এ সংক্রান্ত জটিলতায় অনেকের বিদেশযাত্রা থেমে রয়েছে এবং অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋণ পাচ্ছেন না। এছাড়া খাজনা আপডেট করতে না পারায় বহু মানুষকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ ফারহানা পৃথা বলেন, অটোমেশনের কাজ করতে গিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, যা ইতোমধ্যে সমাধানে কাজ হচ্ছে । এ সপ্তাহের মধ্যেই বাকি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এ ব্যপারটা শুরু ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নয় সারা দেশেই এ সমস্যা হচ্ছে আশা করি দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।