নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত সিএনজি চালক মো: মোস্তফা (২৪)’কে আব্দুলাহপুর এলাকা হতে উদ্ধারপূর্বক অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা মামুন (৩৯)’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০। ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন এলাকায় বসবাসকারী মো: মোস্তফা (২৪), পিতা-মোজাম্মেল হক, সাং-চর খাসকান্দি, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা দীর্ঘদিন যাবৎ ভাড়ায় সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। গত ১৯/১২/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ১৯:১০ ঘটিকায় প্রতিদিনের ন্যায় সিএনজি নিয়ে যাত্রী পরিবহন করার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন কদমতলী এলাকার ইবনেসিনা হাসপাতালের সামনে অবস্থান করে।
এরপর অপহরণকারী মামুনসহ তার সহযোগীরা কোনাখোলা যাওয়ার জন্য ভিকটিম মোস্তফার সিএনজিতে উঠে। কিছুদুর যাওয়ার পর ফাঁকা জায়গাতে গিয়ে মামুনসহ অপরাপর আসামীরা ভিকটিম মোন্তফাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার ভয়ভীতি দেখায়। ভিকটিম মোস্তফার বাড়িতে কল দিয়ে তার বাবার নিকট মুক্তিপণ হিসেবে ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা দাবী করে। মুক্তিপনের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে মামুন ভিকটিম মোস্তফাকে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে এবং মোন্তফাকে মারপিটের ঘটনা ভিডিও কলে মোস্তফার বাবাকে দেখায়। অতঃপর ভিকটিম মোস্তফার বাবা মোজাম্মেল হক, সাং-চর খাসকান্দি, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা বাদী হয়ে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় ভিকটিম মোস্তফা’কে অপহরণের দায়ে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে।
উল্লেখিত অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল অপহৃত ভিকটিম মোস্তফা’কে দ্রুত উদ্ধারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২০/১২/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ১৯:১০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আব্দুল্লাহপুর বাস ষ্ট্যান্ড এলাকা হতে ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত ভিকটিম মোস্তফা’কে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারসহ আসামী মোঃ মামুন(৩৯), পিতা-মৃত খোকন আলী, সাং-দিঘীরপাড়, থানা-টঙ্গীবাড়ী, জেলা-মুন্সীগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।