মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি: ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউপির নন্দলালপুর (মহেশপুর) গ্রামে মোঃ আকতারুজ্জামানের বাড়ীর ড্রেনে পাইপ বসানোকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মোঃ আকতারুজ্জামানের মা কহিনুর বেগম ও ভাবী জান্নাতুল ফেরদৌসী গুরুত্বর আহত হন।
ফুলবাড়ী থানায় ১৯/১২/২০২৪ ইং তারিখে বেতদিঘী ইউপির নন্দলালপুর মহেশপুর গ্রামের মোঃ হায়দার আলীর পুত্র মোঃ আকতারুজ্জামানের দায়েরকৃত ইজাহার সূত্রে জানা যায়, নন্দলালপুর গ্রামের মোঃ মাসুদ রানা (৩৫), পিতা: মোঃ ইদ্রিস মন্ডল, মোঃ আলাউদ্দিন মন্ডল (৩৮) পিতা: মমতাজ উদ্দীন, মোঃ শাহাদত হোসনে (৩২) পিতাঃ মোঃ রফিক, মোঃ শাহিন আলম (২৯) পিতাঃ মোঃ রফিক, মোছাঃ নুরনাহার বেগম (৪৫) স্বামী রউফ মন্ডল, মোঃ মমতাজ উদ্দীন (৬০) পিতা: অজ্ঞাত, মোঃ ফারজানা বেগম (২২) স্বামী মোঃ শাহাদত হোসন গংরা গত ১৮/১২/২০২৪ইং তারিখে দুপুর ১.৩০ঘটিকায় আক্তারুজ্জামানের বাড়ীর পানি বাহির করার জন্য ড্রেনে পাইপ বসাতে গেলে বিবাদী বাধা প্রদান করেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, মোঃ আকতারুজ্জামানের পিতা হায়দার আলী প্রতিবাদ করলে। উল্লেখ্য ব্যক্তিরা মারপিটের প্রস্তুতি নেয়।
পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তারা লাঠি শোটা ও রড নিয়ে মোঃ শাহাদত হোসেনের হাতে থাকা কোদাল দিয়ে তার মায়ের মাথায় আঘাত করেন। এতে তার মা গুরুত্বর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায় এবং শাহিন আলম এর হাতে থাকা রড দিয়ে মারধর করতে থাকে। তার পিতা হায়দার আলী বাঁচার জন্য এগিয়ে গেলে তাকে মারধর করতে থাকে। ঐ সময় মোঃ আক্তারুজ্জামানের ভাবী জান্নাতুল ফেরদৌসী শ্বশুর ও শাশুড়ীকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেল তাকেও প্রতিপক্ষগণ মারধর করতে থাকে। ভাবী জান্নাতুল ফেরদৌসী গুরুত্বর আহত হয়।
ঐ দিনেই স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাদেরকে ফুলবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। বর্তমান তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফুলবাড়ী হাসপাতালে রয়েছেন। এই ঘটনায় মোঃ হায়দার আলী পুত্র মোঃ আক্তারুজ্জামান ০৭ জনকে আসামী করে ফুলবাড়ী থানায় গত ১৯/১২/২০২৪ইং তারিখে একটি এজাহার দায়ের করেন। এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এ.কে.এম খন্দকার মহিব্বুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।