নিজস্ব প্রতিবেদক,পঞ্চগড় ।।
আজ পঞ্চগড় জেলার শ্রেষ্ঠ দানবীর, শিক্ষানুরাগী, বিশিষ্ট সমাজসেবী ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব খামির উদ্দীন প্রধানের ১৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী বীরপাড়া গ্রামের জমিদার পরিবারে ১৯২১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহন করেন। ২০০৫ সালের এই দিনে তিনি পরলোকে গমন করেন। পিতার জমিদার কবাদ আলী প্রধান। মাত্র ৩ বছর বয়সে নিজ বাড়ীতে ডাকাতের আক্রমনে পিতার অকাল মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন পিতা মাতার একমাত্র সন্তান। পিতার অকাল মৃত্যুতে জমিদারির বেহাল দশা হলে শিশু খামিরউদ্দীন প্রধানসহ জমিদারির দেখাশোনার ভার নেন তাঁর চাচাত ভাই তমিজ উদ্দীন প্রধান।
এভাবে পিতার আদর বঞ্চিত শিশু হলেও চাচাত বড় ভাই ও পরিবারের অন্য সদস্যদের আদর-স্নেহে আর অবহেলায় ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠেন আলহাজ্ব খামিরউদ্দীন প্রধান। তৎকালীন সময় যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত পায়ে হেঁটে ৮ কিমি দূরে ভারতের হলদিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্য যাতায়াত করতেন। সে সময় ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন থাকলেও বাঘের ভয়ে ঘোড়া বুনো পথে যেত না। দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় চাচাত ভাই তমিজ উদ্দিন প্রধানের মৃত্যু হলে জমিদারির গুরুদায়িত্ব হাতে নিয়েই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে জড়িত হতে মুসলিম লীগে যোগ দেন। দেশ স্বাধীনের পর বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি দীর্ঘদিন পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সহ- সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তার আগে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে জমিদারি সামলে উঠতে না উঠতেই ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হয়। তদানিন্তন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে এর পরই জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হয়। জমিদারি বিলুপ্ত হলেও অদমনীয় খামির উদ্দীন প্রধান তার এলাকায় চাকলাহাট ও কামাত কাজলদিঘী একত্রিত ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্কারে মনোনিবেশ করেন। সততা আর একনিষ্ঠ মনোভাবের কারণে জনগণের একান্ত ভালোবাসা পাওয়ায় প্রত্যক্ষ নির্বাচনে ২ বার ও পরবর্তীতে কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন আলাদা হলে চাকলাহাট ইউনিয়ন পরিষদে টানা ৫ বার নির্বাচনে জয়ী হয়ে ৩০ বছর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পা্লন করেন। মাঝে ১৯৭৯ সালে পঞ্চগড় সদর থানা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়ে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
জেলা ব্যাপী কৃতিত্ব ছড়িয়ে পড়ে। দেশের অনেক বড় দানবীরদের মাঝে তিনি ছিলেন, উল্লেখযোগ্য। কেউ কেউ উনাকে পঞ্চগড়ের মহসীন হিসেবে অভিহিদ করেন। জেলার সর্বজনবিদিত হিসেবে পরিচিত। যার বিচরণ রাজনীতির পরিমণ্ডলেও ব্যাপক আলোচিত। তিনি কখনো মানুষের সঙ্গে দূরত্ব রেখে নিজেকে শাণিত করেননি এবং অন্যায়ের সাথে করেননি আপোষ। এলাকার মানবকল্যাণ ও সামাজিক উন্নয়নে তার অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। তিনি কখনো ব্যক্তি রাজনীতির প্লাটফর্মে নিজেকে দাঁড় না করে সমাজসেবী হিসেবেই নিজেকে পরিচিত করেছিলেন। শুধুমাত্র নিজ জমি থেকে কৃষিকাজ করে সঞ্চিত অর্থে এলাকার শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে এতো ব্যাপক অবদান দেশের ইতিহাসে বিরল।
তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী বীরপাড়া গ্রামের জমিদার পরিবারে ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২১ বাংলা ১৩২৯ সালে জন্ম গ্রহন করেন। পরবর্তীতে বিএনপির রাজনীতিতে যোগদান করে দেশের উন্নয়নে শরিক হন। জীবদ্দশায় বেশ কয়েক বার পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সহ- সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। একাধিকবার দলের কর্মী ও নেতারা তাকে জেলা বিএনপির সভাপতির আসনে অধিষ্ঠিত করতে চাইলেও তিনি রাজি হন নাই। রাজনৈতিক জীবনে তৎকালীন পাকিস্তানের স্পীকার গমিরউদ্দীন প্রধান এবং সাবেক স্পীকার মির্জা গোলাম হাফিজ ও সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী, স্পীকার ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি জমিরউদ্দীন সরকার তাঁর ঘনিষ্ঠ ও কাছের বন্ধু ছিলেন। পাশাপাশি সামাজিক কল্যাণ ও শিক্ষা বিস্তারের জন্য বিভিন্ন সময়ে জেলাজুড়ে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজ অর্থে প্রতিষ্ঠিত করেন। এগুলো যথাক্রমে ১৯৫৮ সালে চাকলাহাট বগুলাডাঙ্গি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিজ অর্থ জমিসহ সার্বিক প্রচেষ্টার গড়ে তোলেন। ১৯৬৮ সালে ১১ বিঘা জমির ওপর চাকলাহাট কে,পি (খামিরউদ্দীন প্রধান) দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও ১টি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৫ সালে পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজে প্রায় কোটি টাকার জমি দান করেন এবং কলেজটি সরকারিকরণে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
পরর্বতিতে আরো ১৪ শতক জমি সরকারি মহিলা কলেজে ছাত্রীদের হোষ্টেলের জন্য দান করলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তার নামে "হাজী খামির উদ্দীন প্রধান" নামে একটি বহুতল হোষ্টেল নির্মান করেন। এ ছাড়াও পঞ্চগড় সরকারি মকবুলার রহমান কলেজের উন্নয়নে আর্থিক সহযোগিতা করেন। ১৯৯১ সালে টুনিরহাট শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ নিজ অর্থে ১১ বিঘা জমি ক্রয় করে কলেজের নামে দান করেন। ইতিমধ্যে কলেজ প্রতিষ্ঠা পেতে বিঘ্ন হলে আরো প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা নগদ দান করেন। ১৯৯৬ সালে নিজ অর্থে ক্রয়কৃত ৯ বিঘা জমির ও নগদ অর্থ দানে হাজী খামির উদ্দীন প্রধান দাখিল ও আলিম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৯ সালে নিজ জমি ও নগদ অর্থে নিজ পিতা কবাদ আলী প্রধানের নামে এতিমখানা, হাফেজিয়া মাদ্রাসাসহ মসজিদ নির্মাণ করেন। ২০০৪ সালে পঞ্চগড় শহরতলী প্রায় ৬ লাখ টাকায় এক বিঘা জমি ক্রয় করে এবং নগদ অর্থ দান করে পঞ্চগড় হোমিওপ্যাথিক কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৪ সালে নিজ অর্থে ক্রয়কৃত জমিতে চাকলাহাট বি এম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। পঞ্চগড় ডায়বেটিস হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক অর্থ ও শ্রম দেন।
এ ছাড়াও চাকলাহাট জামে মসজিদ, বীরপাড়া জামে মসজিদসহ অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসা ব্যাপক অর্থ দান করেন। জেলার অসংখ্য শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থ দান করেন। গত ২০০৫ সালে ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিটে ৮৫ বছর বয়স্ক এ সমাজসেবী শিক্ষানুরাগী দানবীর ব্যক্তিত্ব, ডায়বেটিস ও কিডনী বিকলজনিত রোগে শয্যাশায়িত অবস্থায় তার গ্রামের বাড়ি চাকলাহাটে না ফেরার দেশে চলে যান।
এ সময় তিনি একাধিক পুত্র ও কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। তাঁর সন্তানদের মাঝে জসিয়ার রহমান প্রধান, চাকলা হাট খামিরউদ্দীন প্রধান বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান। আনিস প্রধান, শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজে বর্তমান উপাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, পঞ্চগড় জেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সভাপতি চাকলাহাট সরকারি বগুলাডাংগী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খামিরউদ্দীন প্রধান জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অ্যাডভোকেট, পঞ্চগড় জেলা জজ কোর্ট ( এপিপি)। আসাদুজ্জামান প্রধান জুয়েল প্রভাষক (সমাজবিজ্ঞান) শহিদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজ, পঞ্চগড়। রেজিয়া ইসলাম মনো সাবেক জাতীয় সংসদ এর সংরক্ষিত সাংসদ, সভাপতি পঞ্চগড় জেলা মহিলা লীগ , হাসিনা প্রধান, (ফেমেলি প্লানিং মাঠ কর্মকর্তা) বর্তমানে অবসরে। অ্যাডভোকেট রিনা প্রধান, সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ( বিএনপি)। শাহিদা রুমি প্রধান বুলা, এয়ার হোষ্টেস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বিমান। শাহনাজ প্রধান মনি ( ডেপুটি রেজিষ্টার, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা)। আনজুমান আরা প্রধান মায়া ( সরকারি শিক্ষক, প্রাথমিক বিদ্যালয়)। আফরোজা প্রধান ছায়া ( সরকারি শিক্ষক, প্রাথমিক বিদ্যালয়)। শামসুন নাহার প্রধান (সহকারি শিক্ষক, প্রাথমিক বিদ্যালয়)। হাফিজা প্রধান মুক্তা ( সহকারী শিক্ষক, হাজী ছবির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ)। বাকিরা কৃষি ও ব্যাবসার সাথে জড়িত।
তার জীবদ্দশায় তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এলাকার মানুষকে বন্য বাঘ ও কৃষকের ফসল বিনষ্টকারী বুনো শুকর, হরিণ, নীল গাই, যৌবনে তিনি অনেক শিকারও করেছিলেন। স্মৃতিচারণে তিনি জানান, দোনলা বন্দুক দিয়ে অর্ধ শতাধিক রয়েল বেঙ্গল টাইগার, কয়েক শতাধিক বুনো শুকর, হরিণ, নীলগাই শিকার করেন।
এসব বুনো জন্তুু অকাতরে শিকারের কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সে সময়ে এসব অঞ্চল ছিল গভীর জঙ্গলে আবৃত। বর্তমানের মতো এতো লোকালয়ও ছিল না।সামান্য কিছু আবাদি জমি ও গৃহ পালিত পশু ছিল মানুষের চাষাবাদ ও বেচে থাকার সম্বল। বাঘের ভয়ে মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজে যেতে এবং ভয়ে পথ চলতে পারতো না, অন্যদিকে 'বুনো শূকর, হরিন ও নীলগাইয়ের অত্যাচারে কৃষকরা আবাদ করতে পারতো না। এলাকার মানুষের জীবন ও ফসল রক্ষার্থে তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে শিকার করতেন।
শিকার করতে গিয়ে কখনো বিপদ হয়েছে কি-না, এ প্রশ্নে তিনি জানান, পার্শ্ববর্তী তেলধারের জঙ্গলের সন্নিকটে বাঘ এক গরিব চাষীর হালের বলদ নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তিনি সেই বাঘ মারতে গিয়ে সারারাত মাচা বেঁধে বাঘের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। ভোর রাতে প্রচণ্ড কুয়াশায় বাঘের দেখা পেয়ে গুলি করেন। প্রচন্ড কুয়াশার কারণে গুলি বাঘের শরীরের সঠিক স্থানে না লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও আহত বাঘ লাফ দিয়ে এক বিশাল কাঁটা ঝোপে গা ঢাকা দেয়। এরপর মাচা থেকে নেমে তিনি বাঘের খোঁজ করতে থাকেন। খুঁজতে খুঁজতে মাত্র ৩০০ গজ দূরে ঝোঁপের কাছে আসা মাত্র বাঘ হুংকার দিয়ে প্রধান সাহেবের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে, হাতে থাকা দোনলা বন্দুক নিয়ে বাঘের আক্রম ঠেকাতে চেষ্টা করেন। এতে বাঘের আক্রমণ ঠেকানো গেলেও হাতের বন্দুক বাঘের থাবার আঘাতে দু টুকরো হয়ে যায়। বাঘের উপর্যুপরি আক্রমনে বাম হাত ও কাঁধে মারাত্মক জখম হলেও তিনি ছেড়ে দেবার পাত্র নন। যতোক্ষণ জ্ঞান ছিল, ডান হাতে থাকা বন্ধুকের ভাংগা অর্ধেক অংশে বাঘকে আঘাত ও অন্য হাতে বাঘের চোয়ালে স্বজোরে ঘুষি মারতে মারতে বাঘকে ধরাশায়ী করেন।
ইতিমধ্যে লোকজন এসে দেখে, একদিকে বিশাল আকার রয়েল বেঙ্গল টাইগার অন্যদিকে প্রধান সাহেব মৃতের মতো পড়ে আছেন। লোকজন পরীক্ষা করে দেখে প্রধান সাহেব জীবিত থাকলেও বাঘটি মরে গেছে। পরে দেখা যায় বাঘের পেছনের উরুতে একটি গুলির চিহ্ন। দীর্ঘ দিন প্রথমে জলপাইগুড়ি ও পরে কোলকাতা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে প্রধান সাহেব সুস্থ হয়ে উঠেন।
এ সময় তিনি মৃত বাঘটিকে স্মৃতি হিসেবে কোলকাতা হতে শুকনো মমি করে রেখে দেন। যা আজও তার শোকেসে রক্ষিত আছে। অতীতের এ অঞ্চলের মানুষকে শুধু হিংস্র বন্যপ্রাণীর হাত থেকে রক্ষা করতে নয়, এলাকার মানুষকে জ্ঞান ও শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে সাধারণ শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তাঁর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পঞ্চগড় জেলার মানুষ কিংবদন্তী এ ব্যক্তির নাম ততো দিন মনে রাখবে, যতো দিন জেলার মানুষ শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে থাকবে বলে সচেতন মহল মনে করেন। এদিকে এ মানবসেবী খামির উদ্দীন প্রধানের একনিষ্ঠ ও সততায় গড়া আদর্শ পরিবারের সকলে তার জন্য দোয়া কামনা করেন।
কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। তিনি বেঁচে আছেন কর্মের মধ্যে। মানুষ কর্মগুণে অমরত্ব লাভ করেন। ক্ষণস্থায়ী মানবজীবনকে অনন্তকাল বাঁচিয়ে রাখতে হলে তথা স্মরণীয়-বরণীয় করে রাখতে হলে কল্যাণকর কর্মের কোনো বিকল্প নেই। রদিন।
এমনি একজন মানুষ ছিলেন, আলহাজ্ব খামির উদ্দীন প্রধান। তিনি মরণের পরেও বেঁচে আছেন। বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পারিবারিক ভাবে ও তারে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মিলাদ মাহফিল ও স্মরণসভার আয়োজন করেছে।