মোঃ অপু খান চৌধুরী।।
ব্রাহ্মণপাড়ায় যতই শীত বাড়ছে মৌসুমি রোগবালাই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এরইমধ্যে সকাল-সন্ধ্যা বইছে তীব্র শীতের আমেজ। শীতের আগমনি বার্তায় ক্রমেই পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়া। দিনে রোদের প্রখরতা থাকলেও সকালে ও রাতের তাপমাত্রার তারতম্যে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসক ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় ৩ ঘন্টার ডায়রিয়া ও রোটাভাইরাসে জরুরী বিভাগে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে বেজোড়া গ্রামের ফয়েজ মিয়ার ছেলে আজিজুল ইসলাম (৭০) সবুজপাড়া গ্রামের শাহরিয়ার এর স্ত্রী আমেনা বেগম (২৫) বেজোড়া গ্রামের আবু বক্করের ছেলে রুহান (৮ মাস) সাহেবাবাদ গ্রামের জাহাঙ্গীরের মেয়ে মরিয়ম আক্তার ( ৯) চারিপাড়া গ্রামের খাইয়েরের মেয়ে তাবাসসুম (৯ মাস) বেজোড়া গ্রামের শাহাদাতের মেয়ে শিখা আক্তার (১৫ মাস) ব্রাহ্মণপাড়া সদরের কাউসারের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (১৫ মাস) কান্দুঘর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে সাকিব (১৫ মাস) মহালক্ষীপাড়া গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২১) গোপালনগর গ্রামের বোরহান উদ্দিনের ছেলে দীন মোহাম্মদ (৫ মাস) সহ আরো অনেকে ডায়রিয়া রোটাভাইরাসের চিকিৎসা নিয়েছে। এছাড়াও গত এক সপ্তাহে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেড় শতাধিক ডায়রিয়া ও নিউমনিয়ায় ভর্তি ও চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার তানজিনা ভূইয়া।
এ বিষয়ে তিনি আরো জানান, ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে মৌসুমি জ্বরসহ এ সময় শিশু ও বয়স্কদের নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিস, সাইনোসাইটিস, টনসিলাইটিস, অ্যাজমা, অ্যালার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকে সাধারণ সর্দি-কাঁশি, ঠান্ডা-জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত কয়েকদিনে সরকারি হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরকম সময়ে শিশু ও বৃদ্ধদের সুস্থ রাখার জন্য ধুলোবালি ও ঠান্ডা পরিবেশ থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিপূর্ণ শীত জেঁকে বসেছে। সকাল-সন্ধ্যা শীতল আবহাওয়া বিরাজ করছে। এ সময়ে বয়স্ক ও শিশু উভয়ের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ও শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি হয়। কারণ শিশু বৃদ্ধদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। দিন দিন শীত বাড়বে, শিশুদের শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত গরম কাপড়সহ হাত-পায়ে মোজা পরিয়ে রাখতে হবে। কোনোভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। গোসলসহ সব ক্ষেত্রে কুসুমগরম পানি ব্যবহার করতে হবে।এবং গরম খাবার খেতে হবে। এবং বাসি খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে প্রতিদিনের খাবার ভালো করে সিদ্ধ করতে হবে এবং টাটকা খাবার খেতে হবে।