উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া, বাগেরহাট) প্রতিনিধি।
বাগেরহাটের কচুয়ায় ১৬ বছরের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলেও জানা গেছে। আলোচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের বড়আন্দরমানিক গ্রামে।
এ বিষয়ে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে একই গ্রামের মোঃ আইয়ুব আলী ফরাজির ছেলে ওহিদুল ইসলাম শেখ (৪০) একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এ ঘটনা সামনে আসার পরপরই অভিযুক্ত অহিদুল শেখ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের কথা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা। অনেকে অভিযোগ করে বলেন অভিযুক্তের পিতা আইয়ুব আলী ফরাজী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় তিনি প্রভাব খাটিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন।
আর মুক্তিযোদ্ধার নামকে কাজে লাগিয়ে তিনি ও তার ছেলে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে আসছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হওয়ায় এতদিন স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে ভয়ে কোন কথা বলতে পারেনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ওহিদুল শেখ আনুমানিক ২০২৪ সালের ৩ জুন ভিকটিমের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। এ সময় বাড়িতে কিশোরীকে একা পেয়ে জোরপূর্বক খাটের উপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে মুখ চেপে ধরে। এসময় ডাক চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায় এবং বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দিয়ে সম্মানহানি করার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের মাধ্যমে তার পরিবার জানতে পারে একাধিকবার ধর্ষণের ফলে কিশোরী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েছে।
পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ভিকটিমের মা ছবেদা বেগম কচুয়া থানায় বাদী হয়ে ৯ (১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ধারায় ওহিদুল শেখকে বাদী করে একটি নারী নির্যাতন ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং -২
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাশেদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। ঐ কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে। আসামিকে ধরার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।