নাটোরে ব্যবস্থাপকের আত্নসাৎ করা ২৪ লাখ টাকা উদ্ধারে মাঠ কর্মীর নামে মামলাফাঁকা চেক ও ষ্ট্যাম্পে সই নেয়ার অভিযোগ।  

আপলোড সময় : ০৪-১২-২০২৪ ১১:৫১:১৩ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৪-১২-২০২৪ ১১:৫১:১৩ অপরাহ্ন

মোঃ রেজাউল করিম, রাজশাহী বিভাগীয় প্রধানঃ

নাটোরে বেসরকারি সংস্থা রির্সোস ইন্টিগ্রেশন সেন্টারের (রিক) ব্যবস্থাপকের আত্নসাৎ করা ২৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬শ টাকা আদায়ে নিরপরাধ মাঠ কর্মীদের নামে কাছ থেকে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর নেয়াসহ থানায় মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে টাকা তুলে আত্নসাৎ করার অভিযোগ প্রমাণ হলেও অন্যায় ভাবে মাঠকর্মীদের চাকরীচ্যুতিসহ নানাভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে হয়রানী বন্ধ করাসহ প্রকৃত অপরাধীকে আটক করে গ্রাহকদের টাকা উদ্ধারের দাবী জানান একজন ভূক্তভোগী মাঠ কর্মী। বুধবার বড়াইগ্রাম উপজেল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাঠ কর্মী সাজেদা খাতুন এ দাবি জানান।


লিখিত বক্তব্য সূত্রে জানা যায়, বেসরকারী সংস্থা রিকের নাটোর সদর শাখা ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান গত ১৩ জুন ২৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬শ টাকা তুলে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে গত ২৫ জুন নাটোর সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্তে কামরুজ্জামানের টাকা আত্নসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার প্রমাণ মিলেছে।


কিন্তু গত ২৭ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক আল মুনছুর রহমান এবং এরিয়া ম্যানেজার রিয়াজ শেখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা মাঠ কর্মী সাজেদা খাতুন, নুর মোহাম্মদ ও ইবনে বতুতা আমীনকে অফিসে ডেকে সকল গ্রাহকদের পাশ বইয়ে জোর পূর্বক টাকা আদায়কারীর স্বাক্ষর নেন। এ সময় সব টাকার দায়ভার তাদের উপর চাপিয়ে সাজেদা খাতুনের পরিচালিত সমিতি হতে ১৪ লাখ ৯৫ হাজার এক শত টাকার বিপরীতে তার কাছ থেকে যমুনা ব্যাংক নাটোর শাখার ফাঁকা চেক (যার নং-১৭২৭৯২৭) এবং ৪শ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হুমকির মুখে স্বাক্ষর নেন। বর্তমানে সাজেদা খাতুন বড়াইগ্রামের বনপাড়া শাখায় কর্মরত থাকলেও তাকে অফিসে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। চাকরী হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে এমনিতেই সাজেদা খাতুন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তার পরও কামরুজ্জামানের কাছ থেকে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তার নামে চেক ডিজঅনার মামলাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।


এ অবস্থায় যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যবস্থাপককে গ্রেফতারসহ গ্রাহকদের টাকা আদায় করা এবং তাকে চাকরীতে পুনর্বহাল করে হয়রানী থেকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান সাজেদা খাতুন ।


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রির্সোস ইন্টিগ্রেশন সেন্টারের জোনাল ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, ব্যবস্থাপক পালিয়ে গেছে এবং তার নামে থানায় ২৩ লক্ষাধিক টাকা আত্নসাতের ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে সত্য। কিন্তু টাকা উঠানোর দায়িত্ব যেহেতু মাঠকর্মীর, তাই তাদেরকেই টাকা দিতে হবে। তবে চেক ও স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।




 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]