মোঃ রাকিব হাসান জামালপুর।
জামালপুর জেলা বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে বকুলতলা মোড়ে বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে জামালপুর জেলা বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সদরের প্রতিটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সকল শ্রেনির কর্মকর্তা কর্মচারীরা রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে নিজ নিজ ব্যানারে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানায়।
জেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে সরদার পাড়ায় অবস্থিত এম এ রশীদ হসপিটালে একদল দুর্বিত্ত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং চারজন কর্মচারীকে বেদম প্রহারে আহত করে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হাসপাতালের রোগীদের ভয়-ভিতি দেখানো হয়। এই জেলাই জন সাধারণের প্রায় পচাত্তর ভাগ স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকে বেসরকারি ক্লিনিক গুলো। কিছুদিন ধরেই লক্ষ করছি আমরা যারা জামালপুরে হাসপাতাল চালাই ছোট ছোট ঘটনার উপর নির্ভর করে হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও মালিকদের উপর হামলা চালানো হয়। অথচ প্রতিনিয়তই আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি, কিছু দুর্বিত্ত এটি ভালো চোখে দেখছে না। তারা এই হাসপাতাল গুলো বন্ধ করার জন্য নানা চক্রান্ত করে যাচ্ছে এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। যারা এধরণের সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে এবং চক্রান্ত করে যাচ্ছে তাদেরকে জরুরী ভাবে আইনের আওতায় আনার জোড় দাবি জানাই। মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন জামালপুর জেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, উপস্থাপনায় ছিলেন বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী হযরত রহমতউল্লাহ হাসপাতাল হাসপাতাল প্রাইভেট এর ব্যবস্থাপনা তারপর উপস্থাপনা পরিচালক এ,বি, এম মাকসুদুর রহমান সোহেল। জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মো: আতিক মানববন্ধন চলাকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মানববন্ধনে গিয়ে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করে বিচারের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হবে।