নিজস্ব প্রতিবেদক
র্যাব ১১, সিপিএসসি কোম্পানি, নারায়ণগঞ্জ এর অভিযানে অবৈধ মাদকদ্রব্য ২০ কেজি গাঁজা এবং মাদকদ্রব্য পরিবহণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই ¯েøাগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা এবং বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন লাঙ্গলবন্দ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ মাদকদ্রব্য ২০ (বিশ) কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন ব্যক্তিকে হাতে নাতে আটক করা হয়েছে। এই সময় মাদকদ্রব্য পরিবহণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো ; ১। মোঃ জসিম উদ্দিন (৩০) জব্দকৃত প্রাইভেটকারের ড্রাইভার, পিতা-মোঃ নাসির উদ্দিন, মাতাঃ জোসনা আরা, ২। মোঃ ফয়সাল হোসেন @ ইমাম (২০), পিতা-মৃত আবু তাহের @ তারুমিয়া এবং ৩। মোঃ পিয়াস হোসেন (১৬), পিতাঃ ওমর ফারুক সর্বসাং-ধর্মপুর, পোঃ মঙ্গলটুলি, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী জানায় যে, যে আটককৃতরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা পরস্পর যোগসাজজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে জব্দকৃত প্রাইভেটকারে করে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা কয় বিক্রয় করে আসছিল। আটকৃত মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ ফয়সাল হোসেন @ ইমাম এবং মোঃ পিয়াস হোসেন পরস্পর যোগসাজশে অভিনব কৌশলে ঘটনাস্থলে জব্দকৃত প্রাইভেটকারে করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবৈধ মাদকদ্রব্য ২০ কেজি গাঁজা পরিবহনকালে নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারি ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানার মদনপুরের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে জব্দকৃত আলামত’সহ গ্রেফতার করেন। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যহত থাকবে। গ্রেফতারকৃতদেরকে নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।