প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ৪:২৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ২১, ২০২২, ১১:২৩ এ.এম
মাদরাসা সুপারের একক আধিপত্যে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত
রুবেল হোসাইন সংগ্রাম-
রংপুরের মিঠাপুকুর বাতাসন ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার সুপারের (প্রধান শিক্ষক) আধিপত্যকে কেদ্র করে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের কাংখিত শিক্ষা অর্জনের দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে। মাদ্রাসাটিতে কর্মচারী নিয়াগ, কৃষি জমি থেকে প্রাপ্ত আয় ও অভিভাবকদের অবমুল্যয়নসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সুপারের একক হটকারি সিন্ধান্তের ফলে উন্নয়নের দিক থেকে প্রতিষ্ঠানটি ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে।
এছাড়াও ওই সুপারের বিরুদ্ধে রয়েছে চেক জালিয়াতির অভিযোগ।
এমন নানা সমস্যায় জর্জরিত প্রাতিষ্ঠানটিতে নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কাই করা হচ্ছে না অথচ নিরব রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্তারা। এ কারণে এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরজমিনে জানা গেছে, উপজেলার ময়েনপুর ইউনিয়নের বাতাসন ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসায় প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। পার্শ্ববর্তী ৫ গ্রামে আর কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় অধিকাংশ অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মাদরাসাটিতেই ভর্তি করান। কিন্তু মাদরাসা সুপারের অবহেলা আর উদাসীনতায় শিক্ষার্থীরা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। রবিবার (২০ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে মাদরাসায় গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণী কক্ষে কোন শিক্ষার্থী নেই। শিক্ষকরা বারান্দায় পায়চারী করছেন।
আর কেউ কেউ মেতে আছেন খোশগল্পে। এছাড়াও আমের মৌসুমেই শ্রমিক লাগিয়ে কেটে ফেলা হচ্ছে মাদরাসার বড় বড় আমের গাছ। রয়েছে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে কমিটি আর সুপারের মধ্যে মত বিরোধ। যার প্রভাব পড়ছে শিক্ষা ব্যবস্থায়, আর খেশারত দিতে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি সহকারী সুপার পদে ১ জন এবং ২১ জানুয়ারি আরও ৩টি পদে নৈশ প্রহরী, নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে মাদরাসার সুপার শফিউল ইসলাম কমিটির কিছু সদস্যদের ম্যানেজ করে গোপনে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছেন। প্রার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এতসব অনিয়মের পরেও কিছুতেই ওই সুপারের টনক নড়ছে না বরং তিনি একের পর এক অনিয়ম করেই চলছে।
মাদরাসার পাশের গ্রাম শিকারপুরের বাসিন্দা রুবেল ইসলাম বলেন, আমাদের আশেপাশে কোন বিদ্যালয় না থাকায় মেয়েকে মাদরাসায় দিয়েছে। মেয়ে এখন ৮ম শ্রেণিতে পড়ে। প্রায় সময় বাড়িতেই দেখি জানতে চাইলে ক্লাস হয় না বলে। ওই মাদরাসার সুপার মেয়ের উপবৃত্তি করে দেয়ার কথা বলে ৬ 'শ টাকা নিয়েছে। টাকাও নাই উপবৃত্তিও নাই।
মাদরাসার ম্যানজিং কমিটির সভাপতি শওকত আলী বলেন, প্রতিষ্ঠানের ভালো কে না চায়। আমি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিয়মানুযায়ী মাদরাসা চলার পক্ষে কিন্তু সুপারের একক সিন্ধান্তে আমি নিরুপায়। সভার আগেই কমিটির সদস্যদের কৌশলে ম্যানেজ করেন। কোরাম নামক নিয়মের কাছে কিছুই করার থাকেনা। এভাবে একটা প্রতিষ্ঠান চলতে পারেনা।
এ বিষয়ে বাতাসন ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার শফিউল আলমর নিকট জানতে চাইলে এক সাংবাদিক নেতার পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, আপনি জানেন আমি ওই সাংবাদিক নেতার চাচা। আমার মাদরাসার বিষয় আমি বুঝবো। আপনাকে বলবো কেন, আপনার যা লেখার লেখেন। কত লেখালেখি হলো। কই আমার কিছুই হয়নি। আপনি লেখবেন, আমি প্রতিবাদ দেব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের সুপার ও কমিটির মধ্যে মিল নেই। তাদের মোখিকভাবে সর্তক করা হয়েছে। গাছ কাটা ও নিয়োগের জন্য টাকা লেনদেনের বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যপার যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।