জানা গেছে, উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের উত্তর পাকুরিয়া গ্রামের মৃত্যু আহমেদ আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন মুরগির ব্যাবসার পাশাপাশি ধান ও চাল ব্যাবসার জন্য পাহাড় পুর বৌদ্ধ বিহার কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক শাখা হতে প্রথমে ৩ লাখ লোন গ্রহন করে যথারিতি পরিশোধ করেন। এবং গত ১৮/১/১৩ ইং তারিখে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লোন নিয়ে থাকে।উক্ত লোনের টাকা ১৭/৮/১৪ ইং তারিখে পরিশোধ না করতে পারায় খেলাপি হিসেবে আখ্যায়িত হন।

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার রাকাব শাখা গত ২৫/৮/১৫ ইং তারিখে ৪ লাখ ২০ হাজার ৯৫৫ টাকার একটি সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করেন, যাহার নং ৪৭/১৫। উক্ত মামলার চুড়ান্ত শুনানির পরে সুদ মওকুফ হিসাবে, গত ৯/০১/২০ ইং তারিখে ৩ লাখ ৬১ হাজার ১০৫ টাকা পরিশোধের চিঠি প্রদান করেন খেলাপী মোজাফফর হোসেন কে পাহাড় পুর রাকাব শাখার ততকালীন ব্যবস্থাপক কাফিজুল ইসলাম । কিন্তু ডিপোলডার মোজাফফর হোসেন বলেন আমি পর্যায়ক্রমে প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করিয়াছি।

বেশ কিছু জমাকৃত রশিদ না পেয়ে বর্তমানে হাতে থাকা টাকা জমার রশিদ মোতাবেক ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যাংকে প্রদান করা হয়েছে কাগজ পত্র সুত্রে জানা যায়। ব্যাংকের জমাকৃত রশিদে গত ১০/২/২০ ইং তারিখে ২০ হাজার, ২৬/৬/২০ ইং তারিখে ৫ হাজার, ২২/১/২০ ইং তারিখে ১০ হাজার, ৭/১০/২০ ইং তারিখে গোবর চাপা জনতা ব্যাংকের চেক ১/ CC /১৩-১৪, ১ লাখ। ৮/১০/২০ ইং তারিখে ২৫ হাজার, ০৩/০১/২১ ইং তারিখে ৫০ হাজার, ১৪/১২/২০ ইং তারিখে ৫০ হাজার, ১৭/৮/২০ ইং তারিখে ৬৫ হাজার, ২৮/১২/২০ ইং তারিখে ১ লাখ,০৩/৭/১৯ ইং তারিখে ১৫ হাজার, এবং সর্ব শেষ ১৪/১১/২২ ইং তারিখে পাহাড় পুর রাকাব শাখা ব্যাবস্হাপকের ৮০ হাজার টাকার নোটিশ পাওয়ার পরে গত ১৮/১২/২২ ইং তারিখে ৮০ হাজার টাকা সহ মোট ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রদানের কাগজ পএ সুএে জানা যায় , তিনি বলেন বেশি দিন হওয়ায় আনেক অনেক জমা রশিদ বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে সাংবাদিকদের জানান।

কিন্তু দুঃখের বিষয় পাহাড় পুর বৌদ্ধ বিহার রাকাব শাখা ব্যবস্থাপক বলেন, তার কাছে ব্যাংকের বকেয়া পাওনা ৪ লাখ, ৭২ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে । এবিষয়ে পাহাড় পুর রাখাব শাখা ব্যবস্থাপক কাছে ৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা পাওনা কিন্তু ৮০ হাজার টাকার বকেয়া আদায়ের চুড়ান্ত নোটিশ ডিপোলডারকে দিলেন কেন জানতে চাইলে, তিনি বলেন পূর্বের ম্যানেজার ভুল করেছেন। এর জন্য দায়ী কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ভুল হতেই পারে।

ভুক্তোভুগি মোজাফফর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমি গত ২১/১২/২২ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত ভাবে ৪৭/১৫ নং সার্টিফিকেট মামলার জমাকৃত দলিলপত্রাদী ফেরত চেয়ে আবেদন করেছি এবং সুদ মওকুফ বাদেও ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন আবেদন সুত্রে জানা যায় । উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮/১২/২২ ইং তারিখে ১৪০২ নং স্বারকে উপজেলা কর্মকর্তা উক্ত ৪৭/১৫ নং মামলার জমাকৃত দলিলপত্রাদী ফেরতের ব্যবস্থা নিতে রাকাব শাখা ব্যবস্থাপক বরাবরে লিখিত ভাবে চিঠি প্রদান করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাকে কোন প্রকার কাগজ পএ ফেরত প্রদান করা হয়নি।

মোজাফফর হোসেন আরও বলেন আমি বারংবার পাহাড় পুর বৌদ্ধ বিহার রাকাব শাখায় যোগাযোগ করলে তিনারা বলেন, আরও ৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা পাওনা পরিশোধ করতে হবে। কবে এই ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবো।

এলাকার স্বচেতন মহল জানান কৃষি ব্যাংকের কৌশল ও ভোগান্তির শেষ কোথায়, আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নেক দৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করি।