দ্বীপজয় সরকারঃ
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল। বাংলাদেশে এই উৎসবটি ‘দোলযাত্রা’ নামেও পরিচিত। দোলযাত্রা ও গৌর পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোম যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
ত্রিশালে নানা আয়োজনে দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হরিনাম সংকীর্তন ও যজ্ঞ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বশান্তি কল্পে ৮ প্রহর ব্যাপী ৫ম বার্ষিকী হরিনাম সংকীর্তন উপজেলার গুজিয়াম তমালতলা স্বর্গীয় চন্দ্র মোড়ল ও ও ডাক্তার বজেন্দ্র চন্দ্র সরকারের বাড়ী প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শ্রী চাঁনমোহন সরাকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক্তার বজেন্দ্র চন্দ্র সরকার।
অনুষ্ঠান পরিদর্শন করেন ১২ নং আমিরাবাড়ি ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মাস্টার, নব নির্বাচিত মেম্বার জমির উদ্দিন শেখ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণ চন্দ্র সরকার, রাজেশ চন্দ্র সরকার, সুসেন চন্দ্র সরকার, প্রাণেশ সরকার, পরিমল চন্দ্র সরকার সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বক্তবৃন্দ।
বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে এসেছেন একত্রিত হয়েছেন এই তমালতলায় হরিনাম সংকীর্তন শ্রবণ করার জন্য। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোলা পূর্ণিমা বা ফাল্গনী পূর্ণিমার দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাঁধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল বা আবির খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন এ মতের বিশ্বাসীরা রাঁধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় তারা পরস্পরের সঙ্গে রং খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন। এ উৎসবকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়।
প্রসঙ্গত, দ্বাপর যুগ থেকে পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাঁধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গা দখল করে নিয়েছে ‘আবির’। এই দিনে একে অপরকে আবিরের রঙে রাঙিয়ে দেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]