পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের নেছারাবাদে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় দবির শেখ ওরফে আকাশ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে দবির শেখ ওরফে আকাশকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর মা সাহিদা বেগম নেছারাবাদ থানায় মামলাটি করেন। আসামি দবির শেখ ওরফে আকাশ (২৬) কোটালিপাড়া থানার বানারঝর গ্রামের আনোয়ার শেখের ছেলে। আল-আমীন শেখ ওরফে মুন্না (৩৫) কোটালিপাড়া থানার রগুনাথপুর গ্রামের লুৎফর শেখের ছেলে। অভিযুক্ত অন্যতম আসামি আল-আমীন শেখ ওরফে মুন্না পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগী মেয়েকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ দবির শেখ ওরফে আকাশ জলাবাড়ি ইউনিয়নের নাপিতখালি গ্রামে জনৈক রুবেল হোসেনের মুরগীর খামারে কাজ করত। সে সুবাধে পাশ্ববর্তী কামারকাঠি গ্রামের মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে আকাশ। মামলার অপর আসামি আল-আমীন শেখ ওরফে মুন্না প্রায়ই আকাশের কর্মস্থলে আসা যাওয়া করত।
এ সুবাদে মুন্নাও কৌশলে মেয়েটির ফোন নম্বর সংগ্রহ করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। ঘটনার দিন মুন্না মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে আকাশের কর্মস্থল নাপিত খালিতে নিয়ে যায়। পরে দু’জনে মিলে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। মেয়েটি বাড়িতে এসে পরিবারের কাছে সব খুলে বললে তার মা সাহিদা বেগম মুন্না এবং আকাশকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: নুরুল আমীন জানান, শুক্রবার রাতে উপজেলার নাপিতখালি গ্রামে একটি মুরগীর ফার্মে এ ঘটনা ঘটে। আমরা ঘটনাটির সত্যতা পেয়েছি। মূলত মেয়েটি খুবই সরল তাকে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাদে ফেলে মুন্না এবং আকাশ মিলে ধর্ষণ করেছে।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত এইচ এম শাহীন বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির মা মুন্না এবং আকাশ কে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। দবির শেখ ওরফে আকাশকে গ্রেফতার করে পিরোজপুর কোর্টে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি আল-আমীন শেখ ওরফে মুন্নাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]