এম.মতিন, চট্টগ্রাম ব্যুরো।
সাংগঠনিক দক্ষতা ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘স্বাধীনতা স্মৃতি পদক ২০২২’ প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কর্তৃক সম্মাননা পেলেন উপজেলার ১৩ নং ইসলামপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো: নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকালে ইছাখালিস্থ উন্মুক্ত মঞ্চে বাবলা চৌধুরীর হাতে এ সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর ছোট ভাই এন এন কে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি খালেদ মাহমুদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইডেন ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষ মাহানুর তাসনিম, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচ, সহ-সভাপতি বদিউল খায়ের লিটন, মাহমুদুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দীন, আজিজ হোসেন, হাছান মুরাদ, আরমান তালুকদার, মো: সানি, শুভশীল, রাশেদ চৌধুরী, মো: শাহাজান, নাসির উদ্দীন, আনোয়ার তালুকদার, মনছুর আবদুল্লাহ প্রমূখ।
জানা যায়, উত্তর রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর ইউনিয়নের খলিফা গ্রামের রাজা মিয়া চৌধুরীর সন্তান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে উপজেলায় ব্যাপক পরিচিত। আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাবলা চৌধুরীর পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বাবা রাজা মিয়া চৌধুরী বৃটিশ শাসিত পাকিস্তান-ভারত শাসন আমলে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত (মৃত্যু আগ মুহূর্ত) দীর্ঘ ৩০ বছর মেম্বার ছিলেন। এছাড়াও তিনি একজন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রতিষ্ঠাকালীন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার পর ১৯৭৬ সালে বঙ্গবন্ধুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত হওয়ায় দুর্বৃত্তরা রাজা মিয়া চৌধুরীকেও গুলি করে হত্যা করেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি বাবার শ্রদ্ধাবোধ ও ভালবাসা দেখেই এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ে ও জাতির জনকের আদর্শে অনুপ্রেরিত হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন বাবলা চৌধুরী। ৯০ এর স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালে ছাত্রলীগের যোগ দিয়ে রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি। এরপর ১৯৯৬ সালে ইসলামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন। ৯৬ সালে থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে ইসলামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে যুবলীগের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত যুবলীগের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে আবারো যুবলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ৩ মেয়াদে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন শেষে ২০২০ সালে নির্বাচিত হন ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু জানান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা মুজিব আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপির ভ্যানগার্ড হিসাবে পরিচিত। এছাড়াও বাবলা চৌধুরী স্পষ্টবাদী ও ন্যায়ের পক্ষে সব সময় অবস্থান করে থাকেন। দলীয় নেতাকর্মীদের ভালোবাসেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার বলেন, বর্তমান তরুণ প্রজন্মের নেতা বাবলা চৌধুরী শুধু দলীয় নেতাকর্মীদের নয়, এলাকাবাসীর খোঁজখবর নেন সব সময়। এছাড়া সবার পাশে থাকার চেষ্টা করেন।
উল্লেখ, করোনা মহামারিতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং সাংগঠনিক দক্ষতা ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা গত ৪ মার্চ সাউথ এশিয়া সোশ্যাল এডুকেশন ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘স্বাধীনতা স্মৃতি পদক-২০২২’ পেয়েছেন। স্বাধীনতা সংসদের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক তথ্য সচিব ও বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মারগুব মোর্শেদ এ পদক তুলে দেন।