প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র্যাব-২, সিপিসি-১ এবং র্যাব-৯, সিপিসি-১ এর যৌথ অভিযানে “ভুল চিকিৎসায় সিজারিয়ান মায়ের মৃত্যুর পরে জীবন্ত শিশুকে মৃত মায়ের পেটে পুণরায় ঢুকিয়ে বাহির থেকে সেলাই করে স্কচটেপ মেরে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায়” দায়েরকৃত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি (১নং আসামি) ডাঃ সবুজ কুমার দাস (৩১)’কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িতদের দ্রæততম সময়ে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত ভুল চিকিৎসায় বরগুনায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি ডাঃ সবুজ কুমার দাস (৩১), পিতা- সনাতন দাস, থানা- কচুয়া, জেলা- বাগেরহাট’কে গত ০২/০২/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া এলাকা থেকে র্যাব-২ ও র্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১৫/০১/২০২৪ খ্রিঃ তারিখে বরগুনা জেলার বামনা থানাধীন এলাকায় সন্তান সম্ভবা এক নারীর প্রসব বেদনা উঠলে তার বাবা ও তার স্বামী মিলে তাকে বিকাল আনুমানিক ১৫.০০ ঘটিকায় বামনা থানাধীন ০৪ নং ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ডৌয়াতলা সুন্দরবন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন।
পরবর্তীতে উক্ত ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সবুজ কুমার দাস আল্ট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দ্রæত অপারেশনের পরামর্শ প্রদান করেন। পরবর্তীতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমের বাবাকে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা দিলে তারা অভিজ্ঞ সার্জন দ্বারা তার মেয়ের অপারেশন করবেন বলে জানান।
এতে ভিকটিমের বাবা রাজি হয়ে ক্লিনিকে অগ্রিম ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা জমা দিলে রাত অনুমানিক ২০.৩০ ঘটিকার সময় উক্ত ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার রুমে ভিকটিমকে অপারেশনের জন্য নিয়ে যায় এবং উক্ত ক্লিনিকের কর্তব্যরত ডাক্তার সবুজ কুমার দাস অন্য কোন অভিজ্ঞ সার্জন ও স্টাফ ছাড়া তার অদক্ষ সহকর্মীদের নিয়ে অপারেশন শুরু করেন।
দীর্ঘ সময় পার হলেও অপারেশন থিয়েটার থেকে কোন সংবাদ না আসায় পরিবারের সন্দেহ সৃষ্টি হয়, সন্দেহের সৃষ্টি হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে অপারেশন থিয়েটার খোলার জন্য বললেও অপারেশন চলছে বলে অপারেশন থিয়েটারের দরজা বন্ধ রাখেন।
এভাবে দীর্ঘ ০২ ঘন্টা ৩০ মিনিট অতিবাহিত হবার পর দরজা খোলার জন্য জোরালো দাবি জানালে ডাঃ সবুজ কুমার দাস ভিকটিমের বাচ্চাকে তার পেটের মধ্যে পুনরায় রেখে তার পেট বাহির থেকে সেলাই করে স্কচটেপ লাগিয়ে রাত অনুমানিক ২৩.০০ ঘটিকায় অপারেশন থিয়েটার হতে বের করে। রোগীর হার্টবিট বেড়ে গেছে এই অজুহাতে রোগীকে জরুরী ভিত্তিতে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে বলে অভিযুক্ত ডাঃ সবুজ কুমার দাস জানান।
তাদের কথামত পূর্ব থেকে ভাড়া করা এ্যাম্বুলেন্স যোগে বরিশাল নেওয়ার পথে ভান্ডারিয়া থানা এলাকায় পৌঁছালে দীর্ঘ সময় ভিকটিমের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেড় থেকে দুই ঘন্টা পূর্বে মারা গেছে মর্মে ঘোষণা করেন।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে বরগুনা জেলার বামনা থানায় ০৮ (আট) জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নং- ০৬ তারিখ-১৬/০১/২০২৪ ইং ধারা- ৩০২/২০১/১০৯ পেনাল কোড ১৮৬০) দায়ের করেন।
এই ঘটনায় দেশব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আলোচনার সৃষ্টি হয়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র্যাব এ বিষয়ে আসামিদেরকে গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও র্যাব-৯ এর যৌথ আভিযানিক দল গত ০২/০২/২০২৪ইং তারিখে আসামি ডাঃ সবুজ কুমার দাস (৩১)’কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউরা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে। আসামিকে গ্রেফতার পূর্বক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষন করে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গ্রফতারকৃত আসামিকে বরগুনা জেলার বামনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
খান আসিফ তপু, এএসপি
সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)
পক্ষে অধিনায়ক
মোবাঃ ০১৭৭৭-৭১০২০৩
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]