মোঃ আব্দুল্লাহ আল মুকিম রাজু, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে ৯ দিন পর কাটল শৈত্যপ্রবাহ পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে কেটেছে টানা শৈত্যপ্রবাহ। এতে করে জনজীবনে ফিরেছে স্বস্তি। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল একই সময়ে রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দেওয়া তথ্য মতে, গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ৯ দিন মৃদু, মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পর ১০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
এই কয়েকদিনের তাপমাত্রা রেকর্ড হিসেবে দেখা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি ৭.৬, ২৯ জানুয়ারি ৬.৮, ২৮ জানুয়ারি ৫.০, ২৭ জানুয়ারি ৭.২, ২৬ জানুয়ারি ৫.৮, ২৫ জানুয়ারি ৮.৬, ২৪ জানুয়ারি ৮.৪ ও ২৩ জানুয়ারি ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।
এর মধ্যে গত ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকদিন ধরে ভোরেই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলছে সূর্য। ঘড়ির কাটায় সময় বাড়তে থাকলে রোদ ঝলমলে হয়ে উঠে দিন। বেড়েছে তাপমাত্রা। স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রমজীবিদের কাজে যেতে দেখা গেছে। ১০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলে দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া সহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতাল গুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় এক সপ্তাহের বেশি সময় সময় ধরে শৈত্যপ্রবাহ কেটেছে। সকালেই দেখা মিলছে সূর্যের মুখ। হিম শীতল বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে।