রাবি প্রতিনিধি:
মাতৃভাষা চর্চা ও প্রসারের লক্ষ্যে রাজশাহী জেলায় প্রথমবারের মতো ‘লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
দুটি ক্যাটাগরিতে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ক’ ক্যাটাগরিতে অংশ নেয় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। ‘খ’ ক্যাটাগরিতে অংশ নেয় দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির (এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ) শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিযোগিতায় রাজশাহী অঞ্চলের ‘ক’ ক্যাটাগরিতে ২৫০ জন এবং ‘খ’ ক্যাটাগরিতে ১৩১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতার মূল্যায়ন ও ফলাফল ঘোষণাপর্বে প্রশ্নোত্তরপর্ব ও উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড-এর বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ আলমগীর, বাংলাদেশ লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড সোসাইটির সদস্য মো. সেলিম মিয়া, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ ১- এর উপ-পরিচালক অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মো. আবদুল কাদের ও নিগার সুলতানা এবং সহকারী পরিচালক মো. লুৎফর রহমান খান, রাজশাহী জেলার শিক্ষা অফিসার এবং রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. মোসা. নূরজাহান বেগম।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে লিঙ্গুইস্টিক অলিম্পিয়াড-এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট-এর পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ।
উদ্বোধন শেষে অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, এ আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুদ্ধ বাংলা ভাষা চর্চার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীবৃন্দ ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে ফলাফল ঘোষণা করেন এবং অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, এই প্রতিযোগিতা মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে অনেক বড় একটা ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ অন্যান্য ভাষাভাষী যারা রয়েছে তাদের সম্পর্কে জানতে পারবে। এসব বিষয় জানার কৌতূহল আরো বৃদ্ধি পাবে এবং সৃজনশীল শিক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত চমৎকারভাবে সহায়তা করবে।