বাংলাদেশ ১১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ছাতকে ১৩ হাজার গ্রাহক ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক হয়রানির স্বীকার  সিলেট সি‌টির প্রশাসকের সা‌থে সি‌লেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ড‌শিপ ফাউ‌ন্ডেশন স্বাক্ষাত বি‌নিময় নিমসার বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ক্ষতির মুখে শত শত ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী রাজশাহী মহানগরীতে বিস্ফোরক মামলার ৭জন আসামি গ্রেপ্তার ভান্ডারিয়া পৌর কৃষক দলের কমিটি গঠন ত্রিশালে অনুমোদনহীন কসমেটিকসকে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা নাইক্ষ্যংছড়িতে পুলিশের অভিযানে আওয়ামীলীগের ৩ নেতা আটক জামালপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ট্রাফিক সপ্তাহ-২০২৪ পালিত নওগাঁর সার্বিক আইন শৃঙ্খলা নিয়ে জেলা প্রশাসকের প্রেস ব্রিফিং। ব্রাহ্মণপাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা পরিদর্শন পীরগঞ্জে রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মীসভা মায়ের স্বপ্ন পূরণে ১২ বছর পর হেলিকপ্টারে বাড়ী আসলেন মাজহারুল। ভোলায় আ.লীগ নেতার অফিস থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বইঠা, ফাইভ ও লাঠি উদ্ধার ভালুকায় ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন কুমিল্লায় ছুরিকাঘাতে একজন নিহত

বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ০২ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৬৩৫ বার পড়া হয়েছে

বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ০২ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ০২ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

র‍্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। বর্তমান সময়ে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেন্সিডিল, হেরোইন, দেশী মদ, বিদেশী মদ, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য অভিনব কায়দায় বহন করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। এ ধরনের মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‍্যাব সদা সচেষ্ট রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল গত রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন মেঘনা নিউটাউন এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে পিকআপে করে পানির ট্যাংকিতে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে মাদক পরিবহনের সময় ১০০ কেজি গাঁজা ও ০১ টি পিকআপসহ কুখ্যাত মাদক স¤্রাট ১। মোঃ মহসিন (৪০), পিতা-মৃত আব্দুল রব, সাং-কাশিমপুর, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা এবং তার অন্যতম সহযোগী মাদক কারবারী ২। পিন্টু চন্দ্র সরকার (২৪), পিতা-চন্দন চন্দ্র সরকার, সাং-কাশিমপুর, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা’কে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রটি বিগত কয়েক বছর যাবৎ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে মাদকের বড় বড় চালান নিয়ে এসে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করত।

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গাঁজার চালানটি তারা রাজধানীতে সরবরাহের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। তাদের পিকআপটিতে মাছ পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিকের ড্রাম ছাড়া অন্য কোন মালামাল ছিল না। পথিমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, কুমিল্লার চান্দিনা হতে মাছ লোড করে যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তে যাচ্ছে। পিকআপে মাছের ড্রামে গাঁজা লুকিয়ে রাখায় তারা নিশ্চিত ছিল যে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশীতে উক্ত মাদকের সন্ধান পাওয়া যাবে না।

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, এ মাদক সিন্ডিকেটের মূলহোতা হলো মহসিন এবং তার অন্যতম সহযোগী পিন্টু। তাদের সাথে কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকার আরও কয়েকজন মাদক কারবারী এই অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তারা অল্প পরিশ্রমে অধিক অর্থ উপার্জনের লোভে মহসিনের পরিকল্পনা মোতাবেক মাদক সিন্ডিকেটটি গড়ে তোলে। মূলত ধৃত মহসিনের পরিকল্পনায় তার অপরাপর সহযোগীরা বিভিন্ন সময় অবৈধ মাদকের চালান বহন ও বিক্রয়ের কাজ করে আসছে।

 

উক্ত চক্রটি মাদকদ্রব্য চোরাচালানের ক্ষেত্রে একেক সময় একেক ধরনের পন্থা অবলম্বন করত। তারা কখনও ভূয়া নাম পরিচয় ব্যবহার করে, কখনও মাইক্রোবাস/প্রাইভেট কারে যাত্রী পরিবহনের নামে কিংবা যাত্রীবাহী বাসযোগে এবং  পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যানে করে অবৈধ মাদকদ্রব্যের বড় চালান নিয়ে আসত। পরবর্তীতে সেসব মাদকদ্রব্য তাদের সহযোগী অন্যান্য মাদক কারবারীদের মাধ্যমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ ও বিক্রয় করত।

গ্রেফতারকৃত মহসিন পারিবারিক টানাপোড়েন এর কারণে পড়াশোনা না করে ছোটবেলা থেকে নিজ এলাকায় নছিমন গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। পরবর্তীতে সে পিকআপের হেলপারি শুরু করে। দীর্ঘ ০৪ বছর পিকআপের হেলপারি করার পর সে নিজেই পিকআপ চালানো শুরু করে।

 

এরপর থেকে সে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে পিকআপযোগে পণ্য পরিবহন করতো। উক্ত পেশার আড়ালে অধিক অর্থ উপার্জনের লোভে সে মাদক কারবারের সাথে জড়িয়ে পড়ে। সে বিভিন্ন কৌশলে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য এনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট তৈরি করে। উক্ত সিন্ডিকেটটি দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানী ঢাকায় এবং এর আশেপাশের এলাকায় মাদকের বড় বড় চালান আনা নেয়া এবং ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে জমজমাটভাবে মাদকদ্রব্যের কারবার চালিয়ে আসছিল।

ধৃত মহসিনের বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে গত ০৩ নভেম্বর ২০২২ তারিখে ঢাকা মহানগরীর হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে মাদকসহ হাতেনাতে গ্রেফতার হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় আরেকটি মাদক মামলা রয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে ০৩ মাস কারাবরণ শেষে জামিনে বের হয়ে পুনঃরায় সে অবৈধ মাদকদ্রব্যের চোরাচালানের সাথে যুক্ত হয়।

গ্রেফতারকৃত পিন্টুর পেশা মূলত কাঠমিস্ত্রি। মাদক কারবারী মহসিন এবং পিন্টুর বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় মাদক সেবনের মাধ্যমে তাদের মাঝে সখ্যতা গড়ে উঠে। পরবর্তীতে মহসিন অল্প পরিশ্রমে অধিক অর্থের লোভ দেখিয়ে পিন্টুকে তার মাদক ব্যবসার সহযোগী হতে প্ররোচিত করে। এরপর হতে পিন্টু তার দৃশ্যমান কাজের পাশাপাশি গোপনে মহসিনের সাথে মাদকদ্রব্য পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয়ে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মোঃ আরিফুর রহমান, পিপিএম
সিনিয়র সহকারী পরিচালক
স্টাফ অফিসার (মিডিয়া)
পক্ষে পরিচালক

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতকে ১৩ হাজার গ্রাহক ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক হয়রানির স্বীকার 

বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ০২ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

আপডেট সময় ০১:১৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ০২ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

র‍্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। বর্তমান সময়ে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেন্সিডিল, হেরোইন, দেশী মদ, বিদেশী মদ, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য অভিনব কায়দায় বহন করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। এ ধরনের মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‍্যাব সদা সচেষ্ট রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল গত রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন মেঘনা নিউটাউন এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে পিকআপে করে পানির ট্যাংকিতে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে মাদক পরিবহনের সময় ১০০ কেজি গাঁজা ও ০১ টি পিকআপসহ কুখ্যাত মাদক স¤্রাট ১। মোঃ মহসিন (৪০), পিতা-মৃত আব্দুল রব, সাং-কাশিমপুর, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা এবং তার অন্যতম সহযোগী মাদক কারবারী ২। পিন্টু চন্দ্র সরকার (২৪), পিতা-চন্দন চন্দ্র সরকার, সাং-কাশিমপুর, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা’কে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রটি বিগত কয়েক বছর যাবৎ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে মাদকের বড় বড় চালান নিয়ে এসে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করত।

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গাঁজার চালানটি তারা রাজধানীতে সরবরাহের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। তাদের পিকআপটিতে মাছ পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিকের ড্রাম ছাড়া অন্য কোন মালামাল ছিল না। পথিমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, কুমিল্লার চান্দিনা হতে মাছ লোড করে যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তে যাচ্ছে। পিকআপে মাছের ড্রামে গাঁজা লুকিয়ে রাখায় তারা নিশ্চিত ছিল যে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশীতে উক্ত মাদকের সন্ধান পাওয়া যাবে না।

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, এ মাদক সিন্ডিকেটের মূলহোতা হলো মহসিন এবং তার অন্যতম সহযোগী পিন্টু। তাদের সাথে কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকার আরও কয়েকজন মাদক কারবারী এই অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তারা অল্প পরিশ্রমে অধিক অর্থ উপার্জনের লোভে মহসিনের পরিকল্পনা মোতাবেক মাদক সিন্ডিকেটটি গড়ে তোলে। মূলত ধৃত মহসিনের পরিকল্পনায় তার অপরাপর সহযোগীরা বিভিন্ন সময় অবৈধ মাদকের চালান বহন ও বিক্রয়ের কাজ করে আসছে।

 

উক্ত চক্রটি মাদকদ্রব্য চোরাচালানের ক্ষেত্রে একেক সময় একেক ধরনের পন্থা অবলম্বন করত। তারা কখনও ভূয়া নাম পরিচয় ব্যবহার করে, কখনও মাইক্রোবাস/প্রাইভেট কারে যাত্রী পরিবহনের নামে কিংবা যাত্রীবাহী বাসযোগে এবং  পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যানে করে অবৈধ মাদকদ্রব্যের বড় চালান নিয়ে আসত। পরবর্তীতে সেসব মাদকদ্রব্য তাদের সহযোগী অন্যান্য মাদক কারবারীদের মাধ্যমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ ও বিক্রয় করত।

গ্রেফতারকৃত মহসিন পারিবারিক টানাপোড়েন এর কারণে পড়াশোনা না করে ছোটবেলা থেকে নিজ এলাকায় নছিমন গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। পরবর্তীতে সে পিকআপের হেলপারি শুরু করে। দীর্ঘ ০৪ বছর পিকআপের হেলপারি করার পর সে নিজেই পিকআপ চালানো শুরু করে।

 

এরপর থেকে সে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে পিকআপযোগে পণ্য পরিবহন করতো। উক্ত পেশার আড়ালে অধিক অর্থ উপার্জনের লোভে সে মাদক কারবারের সাথে জড়িয়ে পড়ে। সে বিভিন্ন কৌশলে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য এনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট তৈরি করে। উক্ত সিন্ডিকেটটি দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানী ঢাকায় এবং এর আশেপাশের এলাকায় মাদকের বড় বড় চালান আনা নেয়া এবং ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে জমজমাটভাবে মাদকদ্রব্যের কারবার চালিয়ে আসছিল।

ধৃত মহসিনের বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে গত ০৩ নভেম্বর ২০২২ তারিখে ঢাকা মহানগরীর হাতিরঝিল থানা এলাকা থেকে মাদকসহ হাতেনাতে গ্রেফতার হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় আরেকটি মাদক মামলা রয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে ০৩ মাস কারাবরণ শেষে জামিনে বের হয়ে পুনঃরায় সে অবৈধ মাদকদ্রব্যের চোরাচালানের সাথে যুক্ত হয়।

গ্রেফতারকৃত পিন্টুর পেশা মূলত কাঠমিস্ত্রি। মাদক কারবারী মহসিন এবং পিন্টুর বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় মাদক সেবনের মাধ্যমে তাদের মাঝে সখ্যতা গড়ে উঠে। পরবর্তীতে মহসিন অল্প পরিশ্রমে অধিক অর্থের লোভ দেখিয়ে পিন্টুকে তার মাদক ব্যবসার সহযোগী হতে প্ররোচিত করে। এরপর হতে পিন্টু তার দৃশ্যমান কাজের পাশাপাশি গোপনে মহসিনের সাথে মাদকদ্রব্য পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয়ে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মোঃ আরিফুর রহমান, পিপিএম
সিনিয়র সহকারী পরিচালক
স্টাফ অফিসার (মিডিয়া)
পক্ষে পরিচালক