কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।
‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে’ বললেই বোঝা যায় মাঘ মাসে শীতের তীব্রতা কেমন। মাঘ মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে উপকূলীয় এলাকার কাউখালীর মানুষ। মাঘের এই প্রথম সপ্তাহে হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অসময়ের বৃষ্টি। আর এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
অসময়ে আকাশ ভেঙে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি নেমেছে। কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে বৃষ্টিতে কাউখালী উপজেলার জনজীবন অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছে। নানা কাজে বাইরে যারা বের হয়েছেন, তারা শীতল বৃষ্টির ফোঁটায় কাবু হয়ে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে । ঘন কুয়াশা ও মেঘে আকাশ ঢেকে থাকায় এখনও সূর্যের দেখা মেলেনি।
সপ্তাহব্যাপী তীব্র শীতে নাকাল জনজীবনের পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি নিয়েও কিন্তু উদ্বিগ্ন কৃষকরা। এদিকে তীব্র শীতের সঙ্গে বৃষ্টির কারণে ক্ষেতের পাকা আমন কাঁটা নিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেউন্দিয়া গ্রামের কৃষক শাজাহান হোসেন জানান মাঠে এখন পাকা আমন। ধান অসময়ে বৃষ্টির কারণে ধানে গজ এসে যেতে পারে এবং বৃষ্টির কারণে ধান জমির সাথে মিশে যাবে এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
অন্যদিকে ভোর থেকে বৃষ্টি থাকায় রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। দু-একজন জরুরি প্রয়োজনে ছাতা মাথায় দিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়েছেন।
রিকশাচালক লিটন বলেন, একদিকে হার কাপানো শীত অন্যদিকে সকাল থেকে বৃষ্টি রাস্তাঘাটে লোকজন না থাকায় যাত্রী কম তাই অনাহারে ছেলে সন্তান নিয়ে জীবন যাপন কাটাতে হবে। এদিকে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকে গরম কম্বলের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিচ্ছে।