দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি যখন প্রথম পূর্বধলার মাঠিতে পা রাখেন তখন থেকেই তার নির্বাচনী জনসভায় জনতারঢল নামে। প্রিয় নেতাকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে দেখা গেছে নেতা কর্মীদের। আহমদ হোসেনও বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় উপজেলার সকল রাস্তাঘাট পাকাকরন, পূর্বধলা পৌরসভা বাস্তাবায়ন, ঢাকা থেকে জারিয়া ঝানজাইল পর্যন্ত আন্ত:নগর ট্রেন চালুসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিক্ষেত্রে ব্যপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিদেন।
কথাদেন পূর্বধলা উপজেলাকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দুর্ণিতীমুক্ত মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার। পূর্বধলা উপজেলার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে, জনতার নেতা আহমদ হোসেনকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ৫২ হাজারের অধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করেন। এরপর থেকেই বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৫বারের সফল সাংগঠনিক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেনকে বিভিন্ন মহল থেকে মন্ত্রীসভায় স্থান দেওয়ার দাবি উঠছে।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দলীয় প্রধানের প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস রেখে সংগঠনের সকল কাজ করে আসছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। ১৯৯০ এর পর থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনেই এই আসনে আওয়ামী লীগথেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে তার নাম বেশ জোরেশোরে আলোচানায় আসলেও শেষ পর্যন্ত না পাওয়ায় তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের একচুল পরিমানও বাইরে যাননি। পুর্ণ আস্থা রেখেছেন দলীয় প্রধানের প্রতি। এবার তার আস্থার প্রতিদান পেলেন। পূর্বধলার সর্বস্থরের মানুষও তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করে তার মর্যাদা দিলেন।
তৃণমুল থেকে উঠে আসা একজন স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে আহমদ হোসেন এলাকায় সমধিক পরিচিত। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আহমদ হোসেনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে। তিনি পূর্বধলায় উপজেলায় তার নিজ ইউনিয়ন ৮নং বিশকাকুনী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও বিভিন্ন পদে যোগ্যতার সহিত নেতৃত্ব দেন। সৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলা, জোট সরকারে পতন ইত্যাদি আন্দোলনে তার ভুমিকা ছিল প্রশংসনীয়। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টানা ৫বারের মত সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
সফল রাজনীতিবিদ আহমদ হোসেন এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এখান তাকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান পূর্বধলা উপজেলার জনগণ। উপজেলার বিভিন্ন মহলে সেই দাবী সোচ্চার হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জোড়ালোভাবে সেই দাবী ছড়িয়ে পড়ছে।
পূর্বধলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, প্রবীণ রাজনীতিবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: আইয়োব আলী বলেন, আহমদ হোসেন আপাদমস্তক একজন সফল রাজনীতিবিদ। তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে নি:স্বার্থ ও নিবেদিত প্রাণ হিসেবে দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করে আসছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে নৌকাদিয়ে আমাদের মাঝে পাঠিয়েছেন, আমরাও তাকে বিপুলভোটে জয়লাভ করিয়ে তার মর্যাদা দিয়েছি। এখন আহমদ হোসেনকে মন্ত্রী সভায় স্থান দেওয়ার জন্য পূর্বধলা উপজেলার পক্ষ থেকে জোর দাবী জানাচ্ছি।