বিশেষ প্রতিনিধি:
পিরোজপুর-১ আসনে মুখোমুখি এ, কে,এম,এ আউয়াল- শ.ম রেজাউল করিম। সাড়ে তিন লাখের বেশি ভোটারের এই এলাকায় জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী চারজন। দুই জনের দেখা না মিললেও আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী প্রচারে জমে উঠেছে নির্বাচন।
নির্বাচনী মাঠে নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি থেকে খুনের ঘটনায় জড়িয়েছে ক্ষমতাসীন দল। মুখোমুখি এই অবস্থানকে স্থানীয়রা বলছেন, চলছে শেয়ানে শেয়ানে টক্কর।
পিরোজপুরের সদর, ইন্দুরকানী ও নাজিরপুর উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর-১ আসন। সাবেক দুই বারের এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল লড়ছেন ঈগল প্রতীকে। অপরদিকে একাদশ সংসদের এমপি এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আবারও পেয়েছেন নৌকার টিকিট।
আসনটির চার প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির নজরুল ও তৃণমূল বিএনপির রিপনের হাঁকডাক না থাকলেও রীতিমতো মুখোমুখি নৌকার প্রার্থী রেজাউল ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়াল।
এ অবস্থায় ভোটাররা বলছেন, যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিপরীত অবস্থানে থাকা অংশের নেতারা বলছেন, দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজ নেন না বর্তমান সংসদ সদস্য। আর তাই ঈগলের পক্ষে কাজ করছেন তারা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম আউয়ালের অভিযোগ, নৌকার প্রার্থী দলীয় অফিসে আসেন না। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রটোকল নিয়ে তিনি ভোট চান। আউয়ালের দাবি, জামায়াত-বিএনপির কিছু লোক নিয়ে চলেন নৌকার প্রার্থী।
অপরদিকে নৌকার প্রার্থী শ ম রেজাউল করিম বলছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার স্ত্রী মামলার আসামি। তার ভাইয়ের বিরুদ্ধেও মামলা আছে। এটি নৌকার ঘাটি, জনগণ নৌকার সঙ্গে আছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোক বিভাজন হবে না।
শ ম রেজাউল করিম ও এ কে এম আউয়াল ছাড়া এ আসনের বাকি দুই প্রার্থী হলেন- জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম (লাঙ্গল) ও তৃণমূল বিএনপির ইয়ার হোসেন রিপন (সোনালি আঁশ)।
এলাকার পরিস্থিতি বলছে, ফলাফল যাই হোক প্রতিদ্বন্দ্বিতা চরম। পিরোজপুর-১ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৬ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৭৩২ জন।