প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ১:২৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ২০, ২০২৩, ১১:৫২ পি.এম
পীরগঞ্জে পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণে চায়না খাতুনের অনিয়ম দূর্নীতি
মোস্তফা মিয়া পীরগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধি:
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের অধীন পাট অধিদপ্তরের পীরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলায় কর্মরত অফিসার চায়না বেগমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
া১৭ আগস্ট /২৩খ্রি: বৃস্পতিবার পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ -২০২৩ইং কে কেন্দ্র করে তার অপকর্ম নগ্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছে বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তরের আয়োজনে স্থানীয় অডিটরিয়াম হলরুমে পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ -২০২৩ এর আয়োজন করা হয়। ই প্রশিক্ষণে পাট অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক সোলায়মান আলী, জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা একেএম মাহবুব আলম বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইকবাল হাসান, উপজেলা পাট কর্মকর্তা চায়না খাতুন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সাদেকুজ্জামান সরকার উপস্থিত ছিলেন ।
এই প্রশিক্ষণে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে পাট বীজ উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণের জন্য প্রকৃত কৃষকদের মধ্য হতে ৭৫জন পাট চাষীকে নির্বাচিত করার কথা ছিল কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার চায়না বেগম বরাবরের মত এবারো এই প্রশিক্ষণে তার মা, বোন, ভাগ্নি, বাসার কাজের মেয়ে, পল্লী উন্নয়ন অফিসের পিয়ন, পি আই ও অফিসের কর্মী গোলাপী বেগমসহ নিকট আত্মীয়দের প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, কৃষক না হয়েও প্রশিক্ষণে বিশেষ উদ্দেশ্যে আত্মীয়দের যুক্ত করেছেন চায়না বেগম।
গত বছরও উক্ত চায়না বেগম একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। সে সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন,ভবিষ্যতে আর এরকম অপকর্ম হবে না কিন্তু কথা দিয়ে কথা রাখেননি চায়না।
প্রশিক্ষণে কেন মা, বাবা, বোন আত্মীদের যুক্ত করেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে চায়না বেগম অনেকটা উত্তেজিত হয়ে বলেন, মার কি জমি থাকতে পারে না, মা কি পাট চাষ করতে পারে না,পাট জমি কি দেখবেন, দেখলে দেখে আসেন,
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এদের কোন প্রকার জমি নেই। এমনকি জমি বর্গা নিয়েও কোন আবাদ করে না তারা। মুলত নগদ ৮শ ৮০ টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই এ অপকর্ম করেছেন তিনি।এ বিষয়ে পাট অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক সোলায়মান আলী বলেছেন, কর্মকর্তার নিকট আত্মীয় প্রশিক্ষণে যদি থাকে, সে যদি পাট চাষি হয়, তাহলে আমার কিছু করার নেই।
জমি এবং আবাদ যদি না থাকে তাহলে এমন প্রশ্নের কোন জবাব সহকারী পরিচালক সোলায়মান আলী দেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান ইকবাল এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। অনুসন্ধানী করতেই দেরি হল।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।