মশিউর রহমান রাসেল, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে শতাধিক শিশুদের নিয়ে শিতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটি-ইয়াস এর আয়োজন করেছে।
আবহমান বাংলার খাদ্য তালিকার অপরিহার্য অনুসঙ্গ পিঠাপুলিকে নতুন প্রজন্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে সেতু বন্ধন ধরে রাখতে পীঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। সামাজিক সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটি-ইয়াস এর ৪র্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শনিবার (৩০শে ডিসেম্বর) এসডিজি’র অবিষ্ট-০২ এ উল্লেখিত খাদ্য বিষয়ে কাজের অংশ হিসেবে ঝালকাঠির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে শতাধিক শিশুদের মাঝে পিঠাপুলির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে।
এসময় সংগঠনের সভাপতি আবির হোসেন রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ফাইয়্যেদা হক মেরি। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাফিদা মাহমুদ পরি, সংগঠনের উপদেষ্টা ইসরাত জাহান সোনালী, উপদেষ্টা আক্কাস সিকদার, উপদেষ্টা হাসান মাহমুদ, সংগঠনের সহ-সভাপতি এস.এম মাসুদ পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন রানা, সদস্য মশিউর রহমান সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহিদুল ইসলাম রাব্বি।
এ সময় প্রধান অতিথি ফাইয়্যেদা হক মেরি বলেন, এই ছোট্ট সোনামনিদের নিয়ে পিঠা উৎসবের এমন আয়োজন করায় ইয়াস কে ধন্যবাদ জানাই। ছোট্ট শিশুদের হাসিতেই বোঝা যায় তারা শীতের পিঠা পেয়ে কতটা আনন্দিত। এই শিশুদের নিয়ে গড়ে উঠবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ।
উপদেষ্টা ইসরাত জাহান সোনালী বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ফাস্ট ফুড থেকে কিছুটা হলেও একটু সরিয়ে নিয়ে পিঠা পুলির সাথে পরিচিত করিয়ে দিতেই এমন আয়োজন। উল্লেখ্য, ইয়াসের সদস্য, উদ্যোক্তা ও অভিভাবকরা নানান স্বাদের ভাপা, চিতই, পুয়া, পুলি, পাটিসাপটা, ভরা, রসগজা (শুকনা), সেমাই, নকশী পিঠা তৈরী করে এই উৎসবে সহযোগিতা করেছে।
সংগঠনটির উদ্যোক্তারা জানায়, শীতে আমরা ভালো পিঠাপুলি খেলেও শিশুরা এর থেকে বঞ্চিত হয়। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে শীতকালীন এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।