মোঃ আফজাল হোসেন, (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: বীরগঞ্জে যৌতুক নিরোধ আনে মামলা বাদীনিকে মামলা তুলে নিতে জীবন নাশের হুমকি। আদালতের মামলা সূত্রে প্রকাশ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের প্রসাদপাড়া গ্রামের সার ডিলার মোঃ শাহাজাহান আলীর ছেলে রকিব আলম স্ত্রী-সন্তানের কথা গোপন রেখে বীরগঞ্জ পৌর মহল্লার মোঃ মনির হোসেনের মেয়ে তিশা তানভীন মিতু বিবাহিত এক কণ্যা সন্তানের মার সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেম করে এবং এক পর্যায়ে মুসলিম শরিয়ত মোতাবেক গত ২৬/১০/২০২২ ইং তারিখে ৮ লক্ষ ১০১ টাকা দেন মোহর ধার্য করে নোটারী পাবলিক ও কাজি রেজিষ্ট্রেশন করে বিবাহ করে ।
বিবাহের পর বীরগঞ্জ পৌর এলাকার হাটখোলা মহল্লার সোহেল রানার বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। এক পর্যায় আসামী মোঃ রকিব আলম ব্যবসার কথা বলে স্ত্রী তিশা তানভীন মিতুর নিকট থেকে ব্যবসার জন্য নগদ ৭ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন। কিছুদিন পর বাদীনি জানতে পারে আসামীর পূর্বের স্ত্রী সন্তান আছে এব্যাপারে আসামী রকিব আলমকে জিজ্ঞাসা করে। মোঃ রকিব আলম বিবাহের কাবিনামায় তিশা তানভীন মিতুকে প্রথম স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন।
আসামী রকিব আলম প্রায় সময় গ্রামের বাড়িতে থাকাকে নিয়ে বাদিনীর সঙ্গে ঝাগড়ার সৃষ্টি হইলে আসামী বাদীনিকে বলে আমাকে তালাকনামা দিলে আমার পরিবারের লোকজন চুপ চাপ থাকবে আমি পরবর্তীতে আবার তোমাকে বিয়ে করব সরল বিশ্বাসে বাদীনি আসামীর কথা মতে গত ০১/০৯/২০২৩ ইং তারিখে তালাক প্রদান করেন। তালাক প্রদান করার পরেও আসামী বাদীনির সঙ্গে স্বামী স্ত্রী হিসেবে দাম্পত্য জীবন যাপন করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে গত ০৬/১০/২০২৩ ইং তারিখে আসামী পুনরায় বাদীনিকে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে কাজী রেজিষ্ট্রশনের মাধ্যমে বিবাহ করার পর আসামী বাদীনির সঙ্গে যোগদাযোগ বিচ্ছিন্ন করলে বাদিনী গত ০৮/১২/২০২৩ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় আসামীর বাড়িতে গিয়ে আসামীর সহিত দেখা করে জানতে চায় কি কারনে বাদীর সঙ্গে যোগদাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কি কারনে বাড়ী ভাড়া টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে না যানতে চাইলে
আসামী আবারো বাদীনির নিকট ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক বাদী করেন বাদীনি পরিস্কার বলেন আমি ১ টাকারও আর দিতে পারব না। পূর্বেই ৭ লক্ষ টাকা দিয়েছি এই কথা বলা মাত্রই বাদীনিকে বেধড়ক মারপিট করিয়া বাড়ী থেকে বের করে দিলে এলাকাবাসী বাদিনীকে উদ্ধার করে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স এ ভর্তি করেন। বাদীনি নিরুপায় হয়ে গত ১১/১২/২০২৩ ইং তারিখে আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করলে আসামী ও তার পরিবারের লোকজন বাদীনিকে মামলা তুলে নিতে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে বাদীনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এব্যাপারে সচেতন মোহল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামান করেছেন।