মো: মনিরুজ্জামান, পিরোজপুর:

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুরের ৩টি আসনে ১৯ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়।

পিরোজপুর- ০১ (পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর-ইন্দুকান্দী) আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্র শ. ম. রেজাউল করিম পেয়েছেন দলীয় প্রতিক (নৌকা), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়াল পেয়েছেন (ঈগল), জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ নজরুল ইসলাম (লাঙ্গল) এবং তৃণমূল বিএনপি মনোনীত ইয়ার হোসেন রিপন পেয়েছেন (সোনালী আঁশ)।

পিরোজপুর- ০২ (ভান্ডারিয়া-নেছারাবাদ-কাউখালী) আসন থেকে জাতীয় পার্টি (জেপি-মঞ্জু) এর চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন (নৌকা) প্রতিক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মহিউদ্দিন মহারাজ (ঈগল), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি মনোনীত মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে সৈয়দ মনির (একতারা), ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি মনোনীত মোঃ আবুল বাশার (আম), গণফ্রন্ট মনোনীত মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন মাহমুদ (মাছ), বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত মোঃ ছগির মিয়া (ডাব) এবং বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত মোঃ জাকির হোসাইন (ফুলের মালা)।

পিরোজপুর- ০৩ (মঠবাড়িয়া) আসন থেকে জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ মাশরেকুল আজম রবি পেয়েছেন (লাঙল) প্রতিক, বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাঃ মোঃ রুস্তুম আলী ফরাজী (ঈগল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শামীম শাহনেওয়াজ (কলার ছড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত হোসাইন মোশারেফ সাকু (ডাব), বাংলাদেশ কল্যান পার্টি মনোনীত মোঃ শহিদুল ইসলাম স্বপন (হাত ঘড়ি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত মোঃ শহিদুল ইসলাম (ফুলের মালা), ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি মনোনীত মোঃ আমির হোসেন (আম) এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) মনোনীত মোঃ জাসেম মিয়া (ছড়ি)। এই আসনটি আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে।

জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুরের ৩টি আসনে ১৯ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রর্থীদের নির্বাচনী আচারণবিধি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে ৭ উপজেলার ৭ জন এবং চারটি পৌরসভায় ৪ জন নির্বাহী ম্যাাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও পুলিশ, র‌্যাব সার্বক্ষনিক টহল দিচ্ছে। কেউ আচারণবিধি লঙ্গন করলে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়া হবে।