প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ৭:২০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ২২, ২০২৩, ৮:৫২ পি.এম
নবীগঞ্জে ১৫ টাকা কেজির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে ডিলার সামসুলের বিরুদ্ধে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণে ডিলার মুজিবুর রহমান সামসুল হক এর বিরুদ্ধে কার্ডরীদের চাল ওজনে কম ও টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
সুবিধাভোগী দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়:
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়ন ভিত্তিক ডিলার সামসুল হক জনপ্রতি ৩০ কেজি চাল দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছে কখন ও ২৭কেজি, আবার কখন ও ২৮ কেজি (এক বালতি) এ ছাড়াও অভিযোগ উটেছে নির্ধারিত সময়ে দোকান না খোলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ডিলারের বিরুদ্ধে।
ডিলার দোকানে চাল না দিয়ে চেয়ারম্যান দিলাওর হোসেন এর নির্দেশনায় চাল দেওয়া হচ্ছে ইউনিয়ন অফিসে, বিতরণ খালে সঠিক ঠিকানা নাজানায় এতে বঞ্চিত হচ্ছেন কার্ডধারী অসহায় গরিব অনেকই। এ নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে চরম ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে। এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়ন অফিসের সামনে ডিলার মুজিবুর রহমান সামসুল হক এর বিরুদ্ধে। তিনি ডিজিটাল মিটারে চাল পরিমাপ না করে এক বালতি চাল বস্তায় ভরে দিয়েই বলছেন ৩০ কেজি চাল। এ নিয়ে উপকারভোগীদের সাথে ঝগড়া লেগেই চলে দিনভর। বাড়াবাড়ি করলে বিভিন্নভাবে হুমকিও দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন কার্ডধারী অনেকেই।
দোকানে বা বাজারে চাল বিতরণের কথা কিন্তু ইউনিয়ন অফিসে কেন এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার মুজিবুর রহমান সামসুল মোবাইল ফোনে (01798-763276) বলেন, আমার দোকানে প্রতি মাসে চাল বিতরন করি আগস্ট মাসে মানুষের সুবিধার্থে চেয়ারম্যান দেলাওর হোসেন সাহেবের নির্দেশনায় আজ মঙ্গলবার সকালে এক গাড়ী চাল নিয়ে পরিষদে বিতরন করেছি।
সরজমিনে সঈদপুর বাজারে গিয়ে ডিলারের দোকান বন্ধ পাওয়া যায় এর পর সুবিধাবীরা খবর পেয়ে ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়ন অফিসে যান। সুবিধাবীদেরকে টাকা নিয়ে চাল না দিয়ে কার্ড দারী কয়েকজন কে ধমক দিয়ে ইউনিয়ন অফিস থেকে বিদায় করে দেন ডিলার মুজিবুর রহমান সামসুল। এরপর দুপুর ১২টায় কার্ড দারী অন্য দের কে একইভাবে বালতিতে ভরে চাল দিয়ে বলে এখানে ৩০ কেজি চাল আছে সুবিধাভোগীরা বলেন এখানে ৩০ কেজি নয় কম পাওয়া গেছে।
তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাল না দেওয়ায়,
২২ আগস্ট সকালে সুবিধাভোগীদের সাথে ডিলারের এ নিয়ে ঝগড়া হয়েছে পরিষদের মেম্বাররা এবিষয়ে,
প্রতিবাদ ও নিন্দা করেও কোন কাজ হয়নি।
এ সময় যারা লাঞ্ছিত হয়েছেন তারা হলেন,
পিটুয়া ও জিয়াদিপুর গ্রামের মিজান মিয়া (৩০) আঃ মালিক রাদু (৬০) (৫০) সাবু মিয়া (৬০) আঃ ছালাম (৫০) মিয়া সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোক্তভোগী অনেক ওই বলেন, আমাদের ডিজিটাল মিটারে পরিমাপ না করেই বালতি দিয়ে বস্তায় ভরে দেয়। আমরাও নিয়ে যাই। পরিমাপ করেনি তারা বলেছে, এখানে ৩০ কেজি চাল আছে। পরে অন্য দোকানে পরিমাপ করে দেখা যায় ২৭ কেজির একটু বেশি।
সঈদপুর বাজারের নাম না বলা অনেক স্থানীয় ব্যবসায়ী দোকানদার জানান, চাল বিতরণে ওজনে কম দেয়ায় উপকারভোগীদের সাথে ঝগড়া হয়েছে ডিলারের সঘে এ নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এবিষয়ে উপজেলা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ফুড ইন্সপেক্টর হোসনা আক্তার জানান,
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চালে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার স্যার কে জানানো হয়েছে এরকম বিষয়ে অনিয়ম হলে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।