হবিগঞ্জ জেলা স্টাফ রিপোর্টারঃ
সিরিয়াল দালাল চক্রকে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এইসব জানে তার মানে সকাল ৫ থেকে ৭ টা ভিতর দালাল চক্রকে। কাজ শেষ করে চলে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের আটক করেছে কেন। তার কারণ জানতে চায় সাধারণ মানুষ। পাসপোর্ট অফিস সামনে পুলিশ সুপার কার্যালয় , দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয় থাকলেও দালালি করছে না পাসপোর্ট অফিসে। তাদের নাম নাম জিজ্ঞাসা করলে তারার নাম না বলতে কি এইসব কার কারনে হচ্ছে। সারা রাত আমরা জাগি লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করি কিন্তু দালালচক্রের কারণে। আমরা সুন্দরভাবে পাসপোর্ট ফরম জমা দিতে পারিনা সকালে তারা এসে 500 থেকে 1000 টাকা করে সিরিয়াল ব্যবসা শুরু করেন আমরা সারারাত জেগে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু তাদের কারণে পাইনা এই চক্র কি শুধু হবিগঞ্জ জেলা তে আছে না আরো আছে তা জানতে চাইলে। পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষরা জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে একা আমাদের বিষয় নয়। যারা আমাদের কাছে জমা দিবে তাদের তবে অবশ্যই বৈধ করে দেবো কিন্তু তারা যদি ছিঁড়ে কাটে সেটা তো আমাদের দেখার বিষয় না কিন্তু এই দেখার বিষয়টি কার জানতে চায় সাধারণ মানুষ।
হবিগঞ্জ জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গ্রাহকরা নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। শুধু তাই নয় সিরিয়াল পেতেও গুনতে হচ্ছে ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা। স্থানীয় কতিপয় বখাটে যুবক আগের দিন সন্ধ্যা থেকে পরেরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত গেটের বাইরে লাইনে ইট বিছিয়ে জায়গা দখল করে রাখে। পরে সকালে দুর দুরান্ত থেকে আসা পাসপোর্ট জমা দিতে আসা লোকজন লাইনে দাড়াতে চাইলে ওই চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে ৫শ থেকে ১ হাজার টাকায় সিরিয়াল কিনতে হয়। তাদের সাথে রয়েছে গেইটের কতিপয় আনসার সদস্য। খবর নিয়ে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন সকালে শত শত গ্রাহকরা পাসপোর্টের কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য ২নং পুলস্থ পাসপোর্ট অফিসে আসেন। লোকজন বেশি হওয়ায় পাসপোর্ট অফিস থেকে লাইনে দাড়ানোর জন্য বলা হয়। বাধ্য হয়ে লোকজন লাইনে দাড়িয়ে সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু এলাকার কিছু বখাটে যুবক এই সিরিয়ালকেই ব্যবসার মাধ্যম হিসেবে বেঁছে নিয়েছে। যারা আগের দিন রাতে লাইনের জন্য ইট ও কাগজ বিছিয়ে রাখে। যাতে মনে হয় এখানে আগে থেকেই কেউ অপেক্ষমান রয়েছে।
আর এসব রাতভর পাহাড়া দেয় বখাটেদেরই এক প্রতিনিধি। ভোর থেকেই লাইনে দাড়ানোর জন্য ভিড় হলে সিরিয়াল অনুযায়ী দাড়াতে চাইলে ওইচক্রটি তখন বাঁধা দেয় এবং তাদেরকে টাকা দিলেই লাইনে দাড়ানোর সুযোগ করে দেয়া হয়। এ নিয়ে প্রায়ই দালালদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। কিন্তু পাসপোর্ট অফিসের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা জানান। তারা আরও জানান, অতিসত্তর বিষয়টির প্রতি নজর না দিলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দালাল জানান, চুরি, ডাকাতি করলে বিপদ, কিন্তু দালালি করলে কোনো সমস্যা নাই। পেটের দায়ে আমরা এ পেশা নিয়েছি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের কারণে র্যাব-৯ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কারাদন্ড দিলেও কিছুদিন বন্ধ থাকার পর দালালরা জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় এসব করছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪,ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]
দৈনিক বাংলার আলো নিউজ জিএমএস বাংলার আলো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।