মোঃ ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পৌর কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে সড়ক ও জনপথের খাল ভরাট করায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কের রামগঞ্জ পৌরশহরের পুলিশ বক্সের উত্তর পাশে সড়কে হাটু পরিমান পানি উঠে গেছে। বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে রামগঞ্জ সরকারি কলেজে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। তাছাড়াও উপজেলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, থানা কিংবা বাজারে যেতে হয় এ পথ ধরেই। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা।
৫ অক্টোবর বৃহস্প্রতিবার দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কের রামগঞ্জ পৌরশহরের পুলিশ বক্সের উত্তর পাশে হাটু পরিমান পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক। জলাবদ্ধতার কারণে পানির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলছে রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, অটোরিক্সা, বাস, ট্রাকসহ নানা যানবাহন। এতে রাস্তা ভেঙে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছেন পথচারীরা। এছাড়া সোনাপুর - চিতোষী সড়কের চৌরাস্তা থেকে মডেল বিশ^বিদ্যালয় কলেজ পর্যন্ত দেখা গেছে একই চিত্র। রামগঞ্জ মধ্যবাজার থেকে থানা বাইপাস সড়ক, এরশাদ হোসেন সড়ক থেকে নূরপ্লাজা হয়ে রামগঞ্জ চৌরাস্তা পর্যন্ত
সড়কে খানা-খন্দ ও পানি জমে থাকায় পথচারীদের হেঁটে চলার সময় সতর্কভাবে পা ফেলতে হচ্ছে। প্রতিদিন পৌরসভার এসব সড়ক দিয়ে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। অধিকাংশ সড়কের কার্পেটিংসহ ইটের খোয়া উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। আর এসব সড়কে পথ চলতে গিয়ে প্রতিদিন কেউ না কেউ দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
নন্দনপুর ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, দেশের প্রথম শ্রেনির পৌরসভায় বসবাস করছি। নিয়মিত পরিশোধ করছি পৌর কর। অথচ সামান্য বৃষ্টিতেই ঘর থেকে বের হতে পারি না। রাস্তায় জমে থাকে ময়লা পানি। আরেক বাসিন্দা রাজু হোসেন বলেন, জনগনের কল্যানে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে না জনপ্রতিনিধিরা। পানি নিস্কাশনের জন্য থাকা একমাত্র খালটি ময়লা পেলে ভরাট করেছে মেয়র। পৌর কর্তৃপক্ষের সেচ্ছাচারিতায় এখন আমাদের কষ্ট করতে হচ্ছে।
ব্যাংক কর্মকর্তা নজির আহাম্মেদ, কলেজছাত্র সোহেল, কামরুলসহ কয়েকজন পথচারী জানান, সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে চলা সড়ক ও জনপথের খালটি ময়লা পেলে ভরাট করেছে পৌরমেয়র। একারনে পানি নামার জায়গা নেই, সড়ককে হাটু পরিমান পানি জমেছে। আমাদের ময়লা পানি আর ভাঙ্গা সড়ক দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে খালটি দখল মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তারা।
৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হলেও খালটি ভরাটের বিষয়ে কিছুই জানিনা। তবে শুনেছি এখানে ট্রাক ষ্ট্যান্ড নির্মান করার জন্য ময়লা ও বালু ফেলে খালটি ভরাট করছে মেয়র।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের রামগঞ্জ অঞ্চলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আমির হোসেন জানান, খালটি ভরাট করতে কোন অনুমতি নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌর মেয়রের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে পৌর মেয়র আবুর খায়ের পাটওয়ারী বলেন, সড়ক এবং খাল দুইটার মালিকই সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তাদের সাথে কথা বলুন। আর পানি নিস্কাশনের বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ গোলাম মাওলা শাওন ০১৭১১-০০৬২১৪, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক 01762119992, প্রধান কার্যালয় ৩৪ নুরজাহান শরীফ প্লাজা ৮ম তলা, পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০। ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০ নিউজ ই-মেইল [email protected] সিভি পাঠান: [email protected]