প্রেস বিজ্ঞপ্তি
সাতক্ষীরায় হোয়াইট গোল্ড চিংড়িতে অপদ্রব্য জেলি মিশ্রনকারি অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান করে ০২ জনকে সাজা প্রদান এবং ৩০০ কেজি চিংড়ি ধ্বংস করেছে র্যাব-৬।
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
খুলনাঞ্চল চিংড়ির জন্য খুবই বিখ্যাত। জিআই পণ্য চিংড়ি বাংলাদেশের হোয়াইট গোল্ড হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। খুলনা হতে চিংড়ি দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ করা হয় এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিশয় মুনাফার লোভে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অপদ্রব্য জেলি পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করে আসছে ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চিংড়ির রং আকর্ষনীয় করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদর সাতক্ষীরার সমন্বয়ে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানাধীন হিজল ডাঙ্গা বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালে অবৈধভাবে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করা অবস্থায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে অসাধু ব্যবসায়ী ১। রবন্দ্রনাথ সরকার’কে ০৩ তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড, ২। মোঃ রফিকুল ইসলাম’কে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে। এ সময়ে ৩০০ কেজি পুশকৃত চিংড়ি মাছ, ১০ লিটার বিষাক্ত জেলী ও ১১ টি সিরিঞ্জ ধ্বংস করা হয়। এবং ১৫০ কেজি পুশ করার জন্য অপেক্ষামান চিংড়ি জব্দ করিয়া এতিম খানায় বিতরণ করা হয়, ও চিড়িংতে পুশ কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জমাদি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে এবং জব্দকৃত চিংড়ি ও সরঞ্জামাদি ধ্বংস করা হয়েছে।