হিজলা প্রতিনিধি ঃ
বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায় বিদ্যালয়ের কেচি গেট ও দরজার তালা ভেঙ্গে লক্ষাদিক টাকার মালামাল নিয়ে যায় চোরে।
সরে জমিনে গিয়ে যানা যায়, হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী মাউলতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গতকাল ১৩ নভেম্বর দিবাগত গভীর রাতে বিদ্যালয়ে, প্রথমে প্রধান শিক্ষকের কেচিং গেট তালা ভেঙ্গে দরজার তালা ভেঙ্গে কক্ষে ঢুকে সেখান থেকে আলমিরা ভেঙ্গে সেখান থেকে বিদ্যালয়ের সকল চাবি নিয়ে নেয়, এরপরে নৈশো প্রহরী শিক্ষকদের লাইব্রেরীতে ঘুমিয়ে পরলে লাইব্রেরীর কক্ষের বাহির থেকে সিটকেলি আটকে দেয়, এরপরে তৃতীয় তলায় ওঠার জন্য কেচিং গেটের তালা ভেঙ্গে তৃতীয় তলায় উঠে তৃতীয় তলার কেচিং গেটের তালা ভেঙ্গে।
দরজার তালা ভেঙ্গে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এর কক্ষে ঢুকে আসবাবপত্র নিয়ে যায়, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে রয়েছে, ১৬ টি ল্যাপটপ, ১৬ টি ল্যাপটপ নিয়ে যায়।
নৈশ প্রহরী আনোয়ার হোসেন জানান, আমি রাত আনুমানিক ২টার সময় ঘুমিয়ে পড়ি সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার সময় দেখি বাহির থেকে দরজার সিট কেলিয়ে আটকানো পরে আমি মাঠে একটি ছোট বাচ্চাকে দেখতে পাই তারপরে ঐ ছেলেটাকে দরজাটা খুলতে বললে দরজা খুলে দেয়।
লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে দেখি দ্বিতীয় তলায় ওঠার কেচিং গেট খোলা, পরে তৃতীয় তলায় উঠি সেখানেও দেখি তৃতীয় তলার কেচিং গেট খোলা দরজা খোলা, আসবাবপত্র ছত্র ভঙ্গ হয়ে আছে ল্যাপটপ গুলো দেখি নেই, তৃতীয় তলায় বসেই প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন খান স্যার কে ফোন দেই, সভাপতি আব্দুস সামাদ হেলাল খান কে ফোন দেই তাৎক্ষণিক তারা চলে আসে।
প্রধান শিক্ষককে জানতে চাইলে তিনি জানান, নৈশোপ্রহী আনোয়ার হোসেন আমাকে ফোন দিলে আমি তাৎক্ষণিক চলে আসি, এসে দেখতে পাই আমার কক্ষের কেচিং গেট ও দরজা ভিতরে আলমিরা আসবাবপত্র এলোমেলো ভাঙচুর, আমি হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারকে জানিয়েছি এবং হিজলা থানা অফিসার্স ইনচার্জ কে জানিয়েছি, হিজলা থানা তদন্ত কর্মকর্তা দীপঙ্কর জানান আমি তদন্ত মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেন এবং সিআইডি তদন্ত চলমান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।