বাংলাদেশ ০৩:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
হোসেনপুরে শরৎ শুভ্রতায় ভূবন মোহিনী রুপ। ঘটনার সময় এলাকায় না থেকেও শ্লীলতাহানি মামলার আসামী কলেজ ছাত্র রং তুলির ছোঁয়ায় দেবীকে রাঙিয়ে তুলতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা, বুড়িচং উপজেলার ৩৭ স্থানে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় উৎসব বুড়িচংয়ে শ্রমিক কল্যাণের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত মিরপুর থানা পুলিশের অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত তিন আসামী গ্রেফতার গজারিয়ায় ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার অবৈধভাবে ভারতের প্রবেশের চেষ্টাকালে ৪ বাংলাদেশী আটক সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী লায়লা মিজান স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ কচুয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ১ জন আহত পীরগঞ্জের নকল ডলার সহ গ্রেফতার। বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। চট্টগ্রামে খালে মিলল বস্তাবন্দি লাশ জেবি গ্রুপের চেয়ারম্যানের সাথে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সৌজন্য সাক্ষাৎ নানা অভিযোগে সুপারের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন কুবিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন চান সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা

শতাধিক মৎস খামারি ভালুকায় সর্বশান্ত হয়েছেন 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:১৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৬১৭ বার পড়া হয়েছে
ভালুকা প্রতিনিধিঃ- 
গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণের পর উজানের পানি নেমে আসায় ভালুকায় ভেসে গেছে প্রায় তিন শতাধিক মৎস খামার। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মৎস কর্মকর্তা। এতে করে একেবারেই পথে বসে গেছেন প্রায় একশত মৎস খামারি।
রোববার সরজমিন উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের বাইরপাথার গ্রামে গেলে কথা হয় খামারি তোজাম্মেল হক সুমন ও আব্দুস সামাদের সাথে। তারা জানায় এক রাতে তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। মনাপাথার বিলে ৬২ জন কৃষকের কাছ থেকে ৫০ একর জমি সারে ২২ লাখ টাকা বাৎসরিক ভাড়া হিসাবে ১৪ বছর মেয়াদে লিজ নেন তারা। ৫/৬ বছর যাবৎ মাছ চাষ করে যাবতীয় খরচ বাদে মোটামোটি লাভের মুখ দেখছিলেন। এ বছর তাদের খামারে প্রতিটি পাঙ্গাসের ওজন প্রায় আড়াই কেজি। শুক্রবার রাতে খামারের বাধ ভেঙে পাঙ্গাসসহ রুই, কাতল, মৃগেলসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ১০ কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
খামারি তোজাম্মেল হক সুমন আরও জানায়, খামারের বাধ ভেঙে বানের পানিতে সব মাছ ভেসে যাওয়ায় তারা এখন সর্বশান্ত। বিশ্বাস ফিস ফিড কোম্পানীর কাছ থেকে তাদের খামারে ৪ কোটি টাকার মাছের খাদ্য বাকিতে নিয়ে খামারের মাছগুলো বড় করেছিলেন। মাছ বিক্রি করে জমির ভাড়া ও খাদ্যের টাকা পরিশোধ করার কথা ছিলো। হটাৎ করেই সব শেষ হয়ে গেলো। বাকিতে মাছের খাদ্যের টাকা ও লিজ নেওয়া জমির ভাড়া পরিশোধের চিন্তায় তিনি এখন দিশেহারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিরুনিয়া, মেদিলা, আশকা, রাজৈ, হবিরবাড়ী, গোয়ারী, পানিভান্ডা, পাঁচগাঁও, সাতেঙ্গা, রাংচাপড়া, কাঠালী এলাকার শত শত মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। ভালুকা পৌর এলাকার নূরুল ইসলামের ২০ একর জমির খামার হতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। কংশেরকুল গ্রামের আলামীন, মুক্তার আলী, আইয়ূব আলী, রমজান আলী সহ অনেকের মৎস্য খামার তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। ক্ষতিগ্রস্থ খামারিকে বিশেষ প্রনোদনা দেওয়ার দাবি জানান তারা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইদুর রহমান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আটশত হেক্টর জমির তিন শতাধিক মৎস্য খামার হতে প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। এতে শতাধীক খামার মালিকের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি শুক্রবার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারগুলো পরিদর্শণ করছেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

হোসেনপুরে শরৎ শুভ্রতায় ভূবন মোহিনী রুপ।

শতাধিক মৎস খামারি ভালুকায় সর্বশান্ত হয়েছেন 

আপডেট সময় ০২:১৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
ভালুকা প্রতিনিধিঃ- 
গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণের পর উজানের পানি নেমে আসায় ভালুকায় ভেসে গেছে প্রায় তিন শতাধিক মৎস খামার। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মৎস কর্মকর্তা। এতে করে একেবারেই পথে বসে গেছেন প্রায় একশত মৎস খামারি।
রোববার সরজমিন উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের বাইরপাথার গ্রামে গেলে কথা হয় খামারি তোজাম্মেল হক সুমন ও আব্দুস সামাদের সাথে। তারা জানায় এক রাতে তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। মনাপাথার বিলে ৬২ জন কৃষকের কাছ থেকে ৫০ একর জমি সারে ২২ লাখ টাকা বাৎসরিক ভাড়া হিসাবে ১৪ বছর মেয়াদে লিজ নেন তারা। ৫/৬ বছর যাবৎ মাছ চাষ করে যাবতীয় খরচ বাদে মোটামোটি লাভের মুখ দেখছিলেন। এ বছর তাদের খামারে প্রতিটি পাঙ্গাসের ওজন প্রায় আড়াই কেজি। শুক্রবার রাতে খামারের বাধ ভেঙে পাঙ্গাসসহ রুই, কাতল, মৃগেলসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ১০ কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
খামারি তোজাম্মেল হক সুমন আরও জানায়, খামারের বাধ ভেঙে বানের পানিতে সব মাছ ভেসে যাওয়ায় তারা এখন সর্বশান্ত। বিশ্বাস ফিস ফিড কোম্পানীর কাছ থেকে তাদের খামারে ৪ কোটি টাকার মাছের খাদ্য বাকিতে নিয়ে খামারের মাছগুলো বড় করেছিলেন। মাছ বিক্রি করে জমির ভাড়া ও খাদ্যের টাকা পরিশোধ করার কথা ছিলো। হটাৎ করেই সব শেষ হয়ে গেলো। বাকিতে মাছের খাদ্যের টাকা ও লিজ নেওয়া জমির ভাড়া পরিশোধের চিন্তায় তিনি এখন দিশেহারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিরুনিয়া, মেদিলা, আশকা, রাজৈ, হবিরবাড়ী, গোয়ারী, পানিভান্ডা, পাঁচগাঁও, সাতেঙ্গা, রাংচাপড়া, কাঠালী এলাকার শত শত মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। ভালুকা পৌর এলাকার নূরুল ইসলামের ২০ একর জমির খামার হতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। কংশেরকুল গ্রামের আলামীন, মুক্তার আলী, আইয়ূব আলী, রমজান আলী সহ অনেকের মৎস্য খামার তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। ক্ষতিগ্রস্থ খামারিকে বিশেষ প্রনোদনা দেওয়ার দাবি জানান তারা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইদুর রহমান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আটশত হেক্টর জমির তিন শতাধিক মৎস্য খামার হতে প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। এতে শতাধীক খামার মালিকের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি শুক্রবার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারগুলো পরিদর্শণ করছেন।