মোঃ কাওছার রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে রাঙ্গাবালী সরকারি অধ্যক্ষ’র স্বাক্ষর জাল করে অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ১৫ জন শিক্ষক কর্মচারী। এ ব্যপারে অধ্যক্ষ স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৯৭৬/২০২৩
অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, গত ১৯/০৫/২০২২ এবং ২০/০৭/২০২২ তারিখের যে কোন সময়ে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান এর খালগোড়া ভাড়া বাসায় আসামীগণ একত্রিত হয়ে অধ্যক্ষের জাল সই স্বাক্ষরের মাধ্যমে আবেদন পত্র তৈরী করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে দাখিল করেন। চাকরি বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী প্রতিটি পদ সৃজনের বিপরীতে ২০২১-২০২২ অর্থ বছ রে আর্থিক সংশ্লেষ: (গ) অর্গোনোগ্রাম, (ঘ) ১৫টি নন ক্যাডার পদে ১১টি স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে আবেদন করেন।
এমনকি অধ্যক্ষর অনুমতি বিহীন সীল মোহর তৈরী করে মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয় সরকারী রাঙ্গাবালী কলেজের ১৫ জনকে অস্থায়ীভাবে রাজস্বখাতে নিয়োগের জন্য প্রজ্ঞাপণ জারি করেন। যা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর অস্থায়ীভাবে রাজস্বখাতে নিয়োগের অফিস আদেশ জারি করেন এবং অধ্যক্ষকে এড়িয়ে অত্র কলেজে যোগদান করেন। যা ২০১৮ চাকরি বিধিমালা বর্হিভূত। তাদের এহেন বেআইনি যোগদানের ভিত্তিতে ১৫/১০/২০২৩ তারিখে আভিযুক্ত মোঃ শফিকুল ইসলাম অত্র কলেজে আয়ন ব্যয়ন কর্মকর্তা এবং কলেজ সংশ্লিষ্ট্য যাবতীয় কর্মকান্ডের আর্থিক লেনদেন পরিচালনার অফিস আদেশ প্রাপ্ত হন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
অত্র কলেজে উপাধ্যক্ষর পদ না থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত মোঃ শফিকুল ইসলাম নিজেকে উপাধ্যক্ষ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে পরিচয় দেন এবং এ সংক্রান্ত ভুয়া কাগজ পত্র তৈরী করে কলেজের বহু ক্ষতি সাধন করছেন বলে অভিযোগকারী অধ্যক্ষ মু. তারিকুল হাসান জানান। ২৭/০৩/২০১৮ তারিখে জনৈক বনি আমিন নামে একজনকে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেন তিনি।
অধ্যক্ষ মু. তারিকুল হাসান আরো জানান, গত ২৯/১০/২০২৩ তারিখে তাঁর নিজ অফিস কক্ষে এসে কলেজের পরিচালনা কাজে বাঁধা প্রদান করেন এবং শাররীক লাঞ্চনার ভয়ভীতি দেখান। যার ফলে তিনি বিজ্ঞ আদালতে বিচার প্রার্থণা জন্য মামলা করতে বাধ্য হন।
এ ব্যপারে মোঃ শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি অধ্যক্ষর স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান, অধ্যক্ষকে এড়িয়ে যোগদানপত্র দাখিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল বন্ধ করে দেন।