বাংলাদেশ ০৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শেষ্ঠ ও বড় গীতা বিদ্যাপীঠ কচুয়া উপজেলা মন্দির কমপ্লেক্স  টুঙ্গিপাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এর শ্রদ্ধা পিরোজপুরের উৎসবমূখর পরিবেশে তিনটি আসনে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে ৩৩ জন প্রার্থী ফেনী জেলার তিনটি আসনে যে ৩৮ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে নতুনধারার সংবাদ সম্মেলনে তথ্য প্রকাশ মুন্সিগঞ্জ জেলার পদ্মা সেতু উত্তর এলাকা হতে ১৩০০ পিস ইয়াবাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ পিরোজপুরের উৎসবমূখর পরিবেশে তিনটি আসনে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে ৩৩ জন প্রার্থী শেষবার  আমাকে সুযোগ দিন আমি জনগণের হয়ে কাজ করব জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবি এম রুহুল আমিন হাওলাদার শাহজাহান ওমরের আওয়ামী লীগে যোগদান সাথে নেই কোন দলের নেতাকর্মী প্রতিমন্ত্রী পলকের আসনে নির্বাচনী প্রতিদন্দী প্রার্থী-১২ জন বদলগাছীতে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন হোসেনপুরে পানচাষে বাজিমাৎ  সিংড়ায় কাজের জন্য এসে রংপুরের কৃষকের মৃত্যু ডাক্তার আলী হোসেন আর নেই নওগাঁয় জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি’র মোট ৫৭ জন নেতা-কর্মী
কচুয়া মাদরাসা ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ঘটনাটি সঠিক নয় বলছে কতৃপক্ষ 

কচুয়া মাদরাসা ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ঘটনাটি সঠিক নয় বলছে কতৃপক্ষ 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৭২৪ বার পড়া হয়েছে

কচুয়া মাদরাসা ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ঘটনাটি সঠিক নয় বলছে কতৃপক্ষ 

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিডিও প্রতিযোগিতা: বিস্তারিত ফেইসবুক পেইজে

উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া, বাগেরহাট) প্রতিনিধি।। 
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়নের চান্দেরকোলা গ্রামে অবস্থিত নূরানী ও হাফেজী মাদরাসার পরিচালক মোঃ মোস্তফার ছেলে মোঃমহিবুল্লার বিরুদ্ধে মাদরাসার এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।নির্যাতনের শিকার ঐ ছাত্রের নাম জোনায়েদ (৭) সে নূরানী ও হাফেজী মাদরাসার ১ম শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত মোঃমহিবুল্লা কচুয়া উপজেলার বকুলতলা এলাকার একটি মসজিদের ইমাম।সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে দেখা গেছে,আদৌ মোঃমহিবুল্লা নূরানী ও হাফেজী মাদরাসার শিক্ষক নয়।তবে স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন তিনি এর আগে এখানে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
এ বিষয়ে শিশু জোনায়েদের পিতা মোঃরফিকুল ইসলাম বলেন,আমি ঢাকায় একটি চাকুরিতে কর্মরত থাকায় আমার শিশুকে এ মাদরাসায় ভর্তি করি।তবে গত বুধবার রাতে মাদরাসার পরিচালক মোঃ মোস্তফার ছেলে মোঃমহিবুল্লা মাদরাসা থাকা অবস্থায় আমার শিশুকে মারধর করেন।এতে তার সামনে থেকে চারটি দাত ভেঙ্গে যায়।এতে আমার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পরে।আমি পরবর্তীতে কচুয়া সদর হাসপাতালে আমার শিশুর চিকিৎসা করাই।এ বিষয়ে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার কে মৌখিক ভাবে জানাই।তবে মাদরাসার বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ নেই শুধু এ ঘটনার বিচার আশা করেন তিনি।জোনায়েদর চাচা সাহআলম ও তার কয়েকজন নিকট আত্মীয়রাও একি অভিযোগ করেন।তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ করেনি কেউ।
ঘটনাটি নিয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল মাদরাসাটিতে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছে এবং মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সাথে কথাবলা ও শিশু জোনায়েদ সহ তার পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছেন।ঘটনার প্রকৃত সত্য যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবু বক্কর বলেন,আমরা মুলত অনাবাসীক শিক্ষক ঘটনার সময় রাতে আমরা ছিলাম না তবে সকালে অন্যান্য ছাত্রদের কাছথেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশু জোনায়েদকে মারধরের অভিযোগ পুরোপুরি সঠিক নয়।আদৌ ঐ সময় শিশুরা খেলা করছিল অসাবধানতা বসত পরেগিয়ে শিশু জোনায়েদের সামনে থেকে ৪ টি দাঁত ভেঙ্গে যায়।তবে যে কারনেই হোক এর জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। মোঃ ইউনুস আলী(৪৩) নামে এক মাদরাসা ছাত্রীর অভিভাবকের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি সুনেছি ছাত্ররা খেলা করছিল এসময় জোনায়েদ মহিবুল্লার কোলথেকে পরে গিয়ে তার সামনের কয়েকটি দাত ভেঙ্গে যায়।তবে নির্যাতনের ঘটনাটি সঠিক নয়।
মোঃনাইম শেখ(৪০) নামে আরো এক মাদরাসা ছাত্রীর অভিভাবকের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় ২ বছর ধরে মাদরাসাটি চালু আছে এধরণের কোন নির্যাতনের ঘটনা আগে-পরে কখন শোনেনি।আর বর্তমানে যে ঘটনা আলোচনায় এসেছে এ সম্পর্কে আমি শুনেছি কয়েকজন শিশু দুষ্টুমি করছিল এসময় তাদের থামানোর জন্য কোলে নিতে গেলে পরেগিয়ে আঘাত পেয়ে দাঁত ভেঙ্গে যায় তবে এটা মারধর বা নির্যাতনের ঘটনা বলে তার মনে হয়না।
মাদরাসার পরিচালক মোঃ মোস্তফা বলেন,আমাদের কোন শিশুকে নির্যাতন করা হয় না বা করিনি।বর্তমান যে ঘটনাটি আলোচনায় এসেছে এটা মুলত ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতের ঘটনা ঐ দিন মাগবিরের পরে ২০ থেকে ২৫ জন শিশু পড়ালেখা করছিল এসময় আমি আমার স্ত্রীকে ১০/২০ মিনিটের জন্য শিশুদের দেখার কথা বলে স্থানীয় সাইনবোর্ড বাজারে যাই পরে বাজারে থাকা অবস্থায় খবর পাই একটা শিশু পরেগিয়ে ব্যাথা পেয়েছে বলে ঔষধ নিতে বলেন আমি ঔষধ নিয়ে দ্রুত মাদরাসায় চলে আসি।গিয়ে আমার ছেলের কাছথেকে যেটা জানতে পারি কয়েকটি শিশু টুপি নিয়ে দুষ্টুমি করছিল তার ছেলে তাদের থামাতে গিয়ে পিছন থেকে ধরতে গিয়ে সোয়েটার পরা অবস্থায় শিশু জোনায়েদ ছটকা দিলে পরে গিয়ে আঘাত পায়।ঘটনার পর শিশুটিকে সুস্থ করি এবং পরে আমি ও আমার শিক্ষকরা একাধিক বার শিশুটির খোঁজ খবর নিয়েছি।তাকে কোন ধরনের নির্যাতন করা হয়নি এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।এ ঘটনায় আমি দুঃখ প্রকাশ করি।
জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শেষ্ঠ ও বড় গীতা বিদ্যাপীঠ কচুয়া উপজেলা মন্দির কমপ্লেক্স 

কচুয়া মাদরাসা ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ঘটনাটি সঠিক নয় বলছে কতৃপক্ষ 

কচুয়া মাদরাসা ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ঘটনাটি সঠিক নয় বলছে কতৃপক্ষ 

আপডেট সময় ০৪:৪০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া, বাগেরহাট) প্রতিনিধি।। 
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়নের চান্দেরকোলা গ্রামে অবস্থিত নূরানী ও হাফেজী মাদরাসার পরিচালক মোঃ মোস্তফার ছেলে মোঃমহিবুল্লার বিরুদ্ধে মাদরাসার এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।নির্যাতনের শিকার ঐ ছাত্রের নাম জোনায়েদ (৭) সে নূরানী ও হাফেজী মাদরাসার ১ম শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত মোঃমহিবুল্লা কচুয়া উপজেলার বকুলতলা এলাকার একটি মসজিদের ইমাম।সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে দেখা গেছে,আদৌ মোঃমহিবুল্লা নূরানী ও হাফেজী মাদরাসার শিক্ষক নয়।তবে স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন তিনি এর আগে এখানে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
এ বিষয়ে শিশু জোনায়েদের পিতা মোঃরফিকুল ইসলাম বলেন,আমি ঢাকায় একটি চাকুরিতে কর্মরত থাকায় আমার শিশুকে এ মাদরাসায় ভর্তি করি।তবে গত বুধবার রাতে মাদরাসার পরিচালক মোঃ মোস্তফার ছেলে মোঃমহিবুল্লা মাদরাসা থাকা অবস্থায় আমার শিশুকে মারধর করেন।এতে তার সামনে থেকে চারটি দাত ভেঙ্গে যায়।এতে আমার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পরে।আমি পরবর্তীতে কচুয়া সদর হাসপাতালে আমার শিশুর চিকিৎসা করাই।এ বিষয়ে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার কে মৌখিক ভাবে জানাই।তবে মাদরাসার বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ নেই শুধু এ ঘটনার বিচার আশা করেন তিনি।জোনায়েদর চাচা সাহআলম ও তার কয়েকজন নিকট আত্মীয়রাও একি অভিযোগ করেন।তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ করেনি কেউ।
ঘটনাটি নিয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল মাদরাসাটিতে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছে এবং মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সাথে কথাবলা ও শিশু জোনায়েদ সহ তার পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছেন।ঘটনার প্রকৃত সত্য যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবু বক্কর বলেন,আমরা মুলত অনাবাসীক শিক্ষক ঘটনার সময় রাতে আমরা ছিলাম না তবে সকালে অন্যান্য ছাত্রদের কাছথেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশু জোনায়েদকে মারধরের অভিযোগ পুরোপুরি সঠিক নয়।আদৌ ঐ সময় শিশুরা খেলা করছিল অসাবধানতা বসত পরেগিয়ে শিশু জোনায়েদের সামনে থেকে ৪ টি দাঁত ভেঙ্গে যায়।তবে যে কারনেই হোক এর জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। মোঃ ইউনুস আলী(৪৩) নামে এক মাদরাসা ছাত্রীর অভিভাবকের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি সুনেছি ছাত্ররা খেলা করছিল এসময় জোনায়েদ মহিবুল্লার কোলথেকে পরে গিয়ে তার সামনের কয়েকটি দাত ভেঙ্গে যায়।তবে নির্যাতনের ঘটনাটি সঠিক নয়।
মোঃনাইম শেখ(৪০) নামে আরো এক মাদরাসা ছাত্রীর অভিভাবকের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় ২ বছর ধরে মাদরাসাটি চালু আছে এধরণের কোন নির্যাতনের ঘটনা আগে-পরে কখন শোনেনি।আর বর্তমানে যে ঘটনা আলোচনায় এসেছে এ সম্পর্কে আমি শুনেছি কয়েকজন শিশু দুষ্টুমি করছিল এসময় তাদের থামানোর জন্য কোলে নিতে গেলে পরেগিয়ে আঘাত পেয়ে দাঁত ভেঙ্গে যায় তবে এটা মারধর বা নির্যাতনের ঘটনা বলে তার মনে হয়না।
মাদরাসার পরিচালক মোঃ মোস্তফা বলেন,আমাদের কোন শিশুকে নির্যাতন করা হয় না বা করিনি।বর্তমান যে ঘটনাটি আলোচনায় এসেছে এটা মুলত ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতের ঘটনা ঐ দিন মাগবিরের পরে ২০ থেকে ২৫ জন শিশু পড়ালেখা করছিল এসময় আমি আমার স্ত্রীকে ১০/২০ মিনিটের জন্য শিশুদের দেখার কথা বলে স্থানীয় সাইনবোর্ড বাজারে যাই পরে বাজারে থাকা অবস্থায় খবর পাই একটা শিশু পরেগিয়ে ব্যাথা পেয়েছে বলে ঔষধ নিতে বলেন আমি ঔষধ নিয়ে দ্রুত মাদরাসায় চলে আসি।গিয়ে আমার ছেলের কাছথেকে যেটা জানতে পারি কয়েকটি শিশু টুপি নিয়ে দুষ্টুমি করছিল তার ছেলে তাদের থামাতে গিয়ে পিছন থেকে ধরতে গিয়ে সোয়েটার পরা অবস্থায় শিশু জোনায়েদ ছটকা দিলে পরে গিয়ে আঘাত পায়।ঘটনার পর শিশুটিকে সুস্থ করি এবং পরে আমি ও আমার শিক্ষকরা একাধিক বার শিশুটির খোঁজ খবর নিয়েছি।তাকে কোন ধরনের নির্যাতন করা হয়নি এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।এ ঘটনায় আমি দুঃখ প্রকাশ করি।