বাংলাদেশ ০৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ভান্ডারিয়ায় শারদীয় দুর্গাপুজা উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত নতুন ঠিকানায় ইসলামী ব্যাংকের ভান্ডারিয়া শাখা হিজলায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন। অসহায় মানুষের পাশে স্বপ্নের অংকুর যুব সংগঠন। জিকো হত্যা মামলার পলাতক আসামী সোহেল শেখকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সাথে কুবি উপাচার্যের মতবিনিময় বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল: শরীয়তপুর জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বদলগাছীতে সকল জপ্লনা কল্পনা শেষে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণের উদ্বোধন সিংড়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে শিক্ষক ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এলাকায় ক্ষতিপূরণের নামে মিথ্যা আশ্বাসের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ খোকসায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মক্তবের চার কোরআনের শিক্ষার্থী নিহত হোসেনপুরে শরৎ শুভ্রতায় ভূবন মোহিনী রুপ। ঘটনার সময় এলাকায় না থেকেও শ্লীলতাহানি মামলার আসামী কলেজ ছাত্র রং তুলির ছোঁয়ায় দেবীকে রাঙিয়ে তুলতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা, বুড়িচং উপজেলার ৩৭ স্থানে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় উৎসব বুড়িচংয়ে শ্রমিক কল্যাণের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

খানসামার সবজি দাম বৃদ্ধি, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৬৫০ বার পড়া হয়েছে

কাঁচা বাজার ঘুরে বিভিন্ন সবজি কিনছেন ক্রেতারা। ছবিটি দিনাজপুরের খানসামা সবজি বাজার থেকে তোলা

 
মো. আজিজার রহমান, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
গ্রাম-গঞ্জের সবজির দাম বৃদ্ধি নিম্ন আয়ের মানুষ অসহায়। ব্যবসায়ীরা বলছে, শীতের সবজির উৎপাদন কমে আসায় বাজারে সব ধরনের সবজির দামই দ্বিগুণ হয়েছে। উত্তরের জেলা দিনাজপুরে আগাম শীত পড়ে। কিন্তু প্রকৃত সবজি চাষীদের মুখে অন্য কথা।
সবজি চাষী মালেক বলছেন, আমি এবার লাউ, বেগুনসহ বিভিন্ন শাক সবজি চাষাবাদ করেছি। বিক্রি করতে গেলে তেমন দাম পাচ্ছি না। যখন সেই সবজি যখন ক্রয় করতে যাচ্ছে তখন দাম দ্বিগুন হচ্ছে, এটা কেমন কথা। এর এই অথচ খানসামা উপজেলা সবজি উৎপাদনে সেরা। এরপরও কমছে না শীতকালীন সবজির দাম। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, মূলা ৩৫, পিয়াজ ১২০, করলা ৬৫, আলু ৫৫ টাকা, পটল ৬০, পুঁইশাক ২০, শিম ৬০ টাকা, বেগুন (গোল) ৪৫ টাকা, বেগুন (লম্বা) ২৫-৪৫ টাকা, ফুলকপি কেজি থেকে ৪৫ টাকা, শসা ৪০, ঢেড়শ ৬০ টাকা, কায়তা ৪০, বটবটি ৪০, প্রতিটি লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায় ও পেঁপের কেজি ৩০ টাকা।
পাকেরহাট বাজারে সবজি কিনতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, আগে ২শ টাকার বাজার করলে ব্যাগ ভর্তি হয়ে যেত। এখন ভর্তি তো দুরের কথা ব্যাগের তলায় পড়ে থাকে বাজার। সবজি বাজার এলে মনে হয়, ভুল করে স্বর্ণের বাজারে এসেছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ইনকাম বাড়েনি কিন্তু জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেড়েছে। আমরা সাধারণ মানুষ এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে রেহাই চাই।
আঃ রহমান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়লে আমাদের ওপর যে কী প্রভাব পড়ে সেটি বলে বোঝানো যাবে না। মাছ মাংস তো দূরের কথা সবজি কিনতে টাকা শেষ। কাঁচা বাজার ঢুকতেই ভয় লাগছে। বাজারে আগুন ধরেছে। এত দাম হলে আমরা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা কি করে কিনব। এতে দিশেহারা হয়ে গেছি। সংসারে টানাটানি শুরু হয়েছে। এখন আমাকে সংসার চালাতে হলে অতিরিক্ত কিছু করতে হবে, না হয় ধার করে চলতে হবে। বাজারে এলে লিস্টের অনেক জিনিস না কিনেই ফিরে যেতে হচ্ছে।
এক শিক্ষক বলছেন, বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু আমার বেতন বাড়েনি। বাজার করতে এসে সবজির দোকানগুলোতে দাম দর করছি। কিন্তু বিক্রেতারা যেভাবে দাম হাঁকাচ্ছে তাতে কেনার সামর্থ্য নেই। শীতের এই ভরা মৌসুমে এমন মূল্যবৃদ্ধি কিভাবে সম্ভব আমার বুঝে আসছে না।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন, এখনো পুরোপুরি শীতকালীন সবজি আসে নাই। আসলে দাম অনেকটাই কমে যাবে। আশা করছি আগামী মাস থেকে দাম কমবে।
আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello
জনপ্রিয় সংবাদ

ভান্ডারিয়ায় শারদীয় দুর্গাপুজা উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

খানসামার সবজি দাম বৃদ্ধি, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

আপডেট সময় ০৩:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
 
মো. আজিজার রহমান, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
গ্রাম-গঞ্জের সবজির দাম বৃদ্ধি নিম্ন আয়ের মানুষ অসহায়। ব্যবসায়ীরা বলছে, শীতের সবজির উৎপাদন কমে আসায় বাজারে সব ধরনের সবজির দামই দ্বিগুণ হয়েছে। উত্তরের জেলা দিনাজপুরে আগাম শীত পড়ে। কিন্তু প্রকৃত সবজি চাষীদের মুখে অন্য কথা।
সবজি চাষী মালেক বলছেন, আমি এবার লাউ, বেগুনসহ বিভিন্ন শাক সবজি চাষাবাদ করেছি। বিক্রি করতে গেলে তেমন দাম পাচ্ছি না। যখন সেই সবজি যখন ক্রয় করতে যাচ্ছে তখন দাম দ্বিগুন হচ্ছে, এটা কেমন কথা। এর এই অথচ খানসামা উপজেলা সবজি উৎপাদনে সেরা। এরপরও কমছে না শীতকালীন সবজির দাম। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, মূলা ৩৫, পিয়াজ ১২০, করলা ৬৫, আলু ৫৫ টাকা, পটল ৬০, পুঁইশাক ২০, শিম ৬০ টাকা, বেগুন (গোল) ৪৫ টাকা, বেগুন (লম্বা) ২৫-৪৫ টাকা, ফুলকপি কেজি থেকে ৪৫ টাকা, শসা ৪০, ঢেড়শ ৬০ টাকা, কায়তা ৪০, বটবটি ৪০, প্রতিটি লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায় ও পেঁপের কেজি ৩০ টাকা।
পাকেরহাট বাজারে সবজি কিনতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, আগে ২শ টাকার বাজার করলে ব্যাগ ভর্তি হয়ে যেত। এখন ভর্তি তো দুরের কথা ব্যাগের তলায় পড়ে থাকে বাজার। সবজি বাজার এলে মনে হয়, ভুল করে স্বর্ণের বাজারে এসেছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ইনকাম বাড়েনি কিন্তু জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেড়েছে। আমরা সাধারণ মানুষ এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে রেহাই চাই।
আঃ রহমান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়লে আমাদের ওপর যে কী প্রভাব পড়ে সেটি বলে বোঝানো যাবে না। মাছ মাংস তো দূরের কথা সবজি কিনতে টাকা শেষ। কাঁচা বাজার ঢুকতেই ভয় লাগছে। বাজারে আগুন ধরেছে। এত দাম হলে আমরা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা কি করে কিনব। এতে দিশেহারা হয়ে গেছি। সংসারে টানাটানি শুরু হয়েছে। এখন আমাকে সংসার চালাতে হলে অতিরিক্ত কিছু করতে হবে, না হয় ধার করে চলতে হবে। বাজারে এলে লিস্টের অনেক জিনিস না কিনেই ফিরে যেতে হচ্ছে।
এক শিক্ষক বলছেন, বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু আমার বেতন বাড়েনি। বাজার করতে এসে সবজির দোকানগুলোতে দাম দর করছি। কিন্তু বিক্রেতারা যেভাবে দাম হাঁকাচ্ছে তাতে কেনার সামর্থ্য নেই। শীতের এই ভরা মৌসুমে এমন মূল্যবৃদ্ধি কিভাবে সম্ভব আমার বুঝে আসছে না।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন, এখনো পুরোপুরি শীতকালীন সবজি আসে নাই। আসলে দাম অনেকটাই কমে যাবে। আশা করছি আগামী মাস থেকে দাম কমবে।