বাংলাদেশ ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :

সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,, সাংবাদিক নিয়োগ চলছে,,০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০, ০১৭১২-৪৪৬৩০৬,০১৭১১-০০৬২১৪ সম্পাদক

     
ব্রেকিং নিউজ ::
ভান্ডারিয়ায় সিরাত সন্ধ্যায় প্রাণের ছোঁয়া ভান্ডারিয়ায় “মুক্তকন্ঠ” শিল্পী ও সাংস্কৃতিক জোটের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানে মানুষের কাঁধে চেপে বসা জালিম শাসকের পতন হয়েছে – মাহমুদুর রহমান ২৬ লাখ টাকার ঘড়ি ৪ মাসেই নষ্ট ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রী শ্রী রসিক রায় জিও মন্দির প্রাঙ্গন ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ১৪ মাসেই কোরআনের হাফেজ বালক গৌরনদীতে সাংবাদিক সোহেবের চেক ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আদালতে মামলা মুন্সিগঞ্জ জেলা ক্রিড়া অফিসের আয়োজনে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত। শরীয়তপুরের জাজিরায় ডিজিএম এর একঘেয়েমীর কারণে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল এক পল্লীবিদ্যুৎতের লাইনম্যানের। নারী শিক্ষার্থীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর হুমকি, ইবিতে শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ জামালপুরে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন দুইদিন ব্যাপী কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট ফ্যাসিবাদের দোসরদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহবান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির ঘোড়াঘাটে ক্যাপিটেশন ভুক্ত মাদ্রাসা গুলোতে চলছে লাখ লাখ টাকা লুটপাট দেখার কেউ নেই বিজিবি সেক্টর কমান্ডারের পুজা মন্ডব পরিদর্শন,শান্তিপুর্ণভাবে দুর্গোৎসব উদযাপনের আহবান ভান্ডারিয়ায় পূজা উদযাপন কমিটির সাথে বিএনপি নেতা সাবেক ভিপি মাহমুদ হোসাইনের মতবিনিময়

কলেজ ছাত্র রুবেল হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে দীর্ঘ ২৬ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২ 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৩৭:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৬৫৫ বার পড়া হয়েছে

কলেজ ছাত্র রুবেল হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে দীর্ঘ ২৬ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২ 

 

 

 

 

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

রাজধানীর আর, কে, মিশন রোডের বহুল আলোচিত কলেজ ছাত্র রুবেল হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে দীর্ঘ ২৬ বছর পর রাজধানীর কোতয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২ 

 

 

 

 

“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

 

 

 

 

 

র‌্যাব-২ এর বিশেষ অভিযানে ১৯৯৬ সালের রাজধানীর আর, কে, মিশন রোডের বহুল আলোচিত কলেজ ছাত্র রুবেল হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আরশাদ@ আসাদ (৪৫)’কে দীর্ঘ ২৬ বছর পর রাজধানীর কোতয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২।  বিগত ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি মাসে ডিএমপি, ডেমরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। তৎকালীন সময়ে রাজধানীর গোলাপবাগ ও গোপিবাগ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘তিন ভাই গ্রুপ’ নামে পরিচিত ছিল।

 

 

 

 

 

এই গ্রুপের প্রধান মামুন ও তার সহযোগীরা অবাধে গোপিবাগ ও গোলাপবাগ এলাকায় মদ, গাঁজা, হেরোইন ও ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি করত। এলাকার উঠতি কিশোররা তাদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ে সেবন করে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতো। মামলার ভিকটিম এনামুল ইসলাম রুবেল (২০) গোলাপবাগ ও গোপিবাগ এলাকায় সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূল করে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও তার বন্ধুরা মিলে ‘সন্ত্রাস নির্মূল প্রতিরোধ কমিটি’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ভিকটিম এনামুল ইসলাম রুবেল ও তার বন্ধুরা গোপিবাগ ও গোলাপবাগ এলাকায় ‘তিন ভাই গ্রুপ’ এর সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদেরকে তাদের অবৈধ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে চাপ সৃষ্টি করে। ভিকটিম এনামুল ইসলাম রুবেল এর প্রতিষ্ঠিত ‘সন্ত্রাস নির্মূল প্রতিরোধ কমিটি’ এর চাপে মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকায় টিকতে না পেরে পার্শ্ববর্তী এলাকায় চলে যায় এবং সেখানে একইভাবে মাদক বিক্রি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে শুরু করে।

 

 

 

 

পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক বিক্রির কথা শুনে ভিকটিম এনামুল ইসলাম রুবেল (২০) ও তার বন্ধুরা সেখানে গিয়ে মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। ফলে এলাকার সন্ত্রাসী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রুপ ‘তিন ভাই গ্রুপ’ এর সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে ‘সন্ত্রাস নির্মূল প্রতিরোধ কমিটি’ এর প্রধান, ভিকটিম এনামুল ইসলাম রুবেল’কে চিরতরে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিগত ০৫ জানুয়ারি ১৯৯৬ তারিখে ডেমরা থানাধীন হোটেল সী-কুইন এর সামনে ভিকটিম এনামুল ইসলাম রুবেল (২০)’কে ছুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে রাস্তায় ফেলে যায়। ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তার বন্ধুরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।

 

 

 

 

 

 

পরবর্তীতে ভিকটিমের মা নিজে বাদি হয়ে হত্যায় জড়িত থাকা ‘তিন ভাই গ্রুপ’ এর লিডার মামুনসহ আরও কয়েক জনের নামে ডিএমপি, ডেমরা থানার মামলা নং-১৩(১)১৯৯৬, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অন্যতম গ্রেফতারকৃত আসামী আরশাদ@আসাদ (৪৫) ১৮ মাস কারাবাস ভোগ করার পর নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে বিজ্ঞ আদালত তাকে জামিন দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে উক্ত আসামী বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক থাকে।

 

 

 

 

ধৃত আসামী পলাতক থাকাবস্থায় বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে গ্রেফতারকৃত আরশাদ@ আসাদ (৪৫) এর বিরুদ্ধে অপরাধের সত্যতা পাওয়ায় ৩০২/৩৪ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫,০০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। রায়ের পর থেকে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী আরশাদ@ আসাদ (৪৫) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে রয়েছে মর্মে তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

 

 

 

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ ১৭.০০ ঘটিকায় ঢাকার কোতয়ালি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অন্যতম আসামি আরশাদ@ আসাদ (৪৫), পিতা-মোঃ শহিদ উল্লাহ, থানা-যাত্রাবাড়ী, জেলা-ঢাকা’কে দীর্ঘ ২৬ বছর পলাতক থাকার পর গ্রেফতার করে। আত্মগোপনে থাকাকালীন সে পরিচয় লুকিয়ে বাস কাউন্টারের টিকেট বিক্রয়ের কাজ করতো বলে জানায়। প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র‌্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

শিহাব করিম, সিনিঃ এএসপি
সিনিঃ সহকারী পরিচালক
(মিডিয়া)
পক্ষে অধিনায়ক
মোবাঃ ০১৭৭৭-৭১০২০৩

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Banglar Alo News

hello

ভান্ডারিয়ায় সিরাত সন্ধ্যায় প্রাণের ছোঁয়া

কলেজ ছাত্র রুবেল হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে দীর্ঘ ২৬ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২ 

আপডেট সময় ১১:৩৭:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

 

 

 

 

 

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

রাজধানীর আর, কে, মিশন রোডের বহুল আলোচিত কলেজ ছাত্র রুবেল হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে দীর্ঘ ২৬ বছর পর রাজধানীর কোতয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২ 

 

 

 

 

“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

 

 

 

 

 

র‌্যাব-২ এর বিশেষ অভিযানে ১৯৯৬ সালের রাজধানীর আর, কে, মিশন রোডের বহুল আলোচিত কলেজ ছাত্র রুবেল হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আরশাদ@ আসাদ (৪৫)’কে দীর্ঘ ২৬ বছর পর রাজধানীর কোতয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২।  বিগত ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি মাসে ডিএমপি, ডেমরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। তৎকালীন সময়ে রাজধানীর গোলাপবাগ ও গোপিবাগ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘তিন ভাই গ্রুপ’ নামে পরিচিত ছিল।

 

 

 

 

 

এই গ্রুপের প্রধান মামুন ও তার সহযোগীরা অবাধে গোপিবাগ ও গোলাপবাগ এলাকায় মদ, গাঁজা, হেরোইন ও ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি করত। এলাকার উঠতি কিশোররা তাদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ে সেবন করে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতো। মামলার ভিকটিম এনামুল ইসলাম রুবেল (২০) গোলাপবাগ ও গোপিবাগ এলাকায় সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূল করে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও তার বন্ধুরা মিলে ‘সন্ত্রাস নির্মূল প্রতিরোধ কমিটি’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ভিকটিম এনামুল ইসলাম রুবেল ও তার বন্ধুরা গোপিবাগ ও গোলাপবাগ এলাকায় ‘তিন ভাই গ্রুপ’ এর সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদেরকে তাদের অবৈধ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে চাপ সৃষ্টি করে। ভিকটিম এনামুল ইসলাম রুবেল এর প্রতিষ্ঠিত ‘সন্ত্রাস নির্মূল প্রতিরোধ কমিটি’ এর চাপে মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকায় টিকতে না পেরে পার্শ্ববর্তী এলাকায় চলে যায় এবং সেখানে একইভাবে মাদক বিক্রি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে শুরু করে।

 

 

 

 

পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক বিক্রির কথা শুনে ভিকটিম এনামুল ইসলাম রুবেল (২০) ও তার বন্ধুরা সেখানে গিয়ে মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। ফলে এলাকার সন্ত্রাসী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রুপ ‘তিন ভাই গ্রুপ’ এর সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে ‘সন্ত্রাস নির্মূল প্রতিরোধ কমিটি’ এর প্রধান, ভিকটিম এনামুল ইসলাম রুবেল’কে চিরতরে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিগত ০৫ জানুয়ারি ১৯৯৬ তারিখে ডেমরা থানাধীন হোটেল সী-কুইন এর সামনে ভিকটিম এনামুল ইসলাম রুবেল (২০)’কে ছুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে রাস্তায় ফেলে যায়। ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তার বন্ধুরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।

 

 

 

 

 

 

পরবর্তীতে ভিকটিমের মা নিজে বাদি হয়ে হত্যায় জড়িত থাকা ‘তিন ভাই গ্রুপ’ এর লিডার মামুনসহ আরও কয়েক জনের নামে ডিএমপি, ডেমরা থানার মামলা নং-১৩(১)১৯৯৬, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অন্যতম গ্রেফতারকৃত আসামী আরশাদ@আসাদ (৪৫) ১৮ মাস কারাবাস ভোগ করার পর নিয়মিত হাজিরা দেওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে বিজ্ঞ আদালত তাকে জামিন দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে উক্ত আসামী বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক থাকে।

 

 

 

 

ধৃত আসামী পলাতক থাকাবস্থায় বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে গ্রেফতারকৃত আরশাদ@ আসাদ (৪৫) এর বিরুদ্ধে অপরাধের সত্যতা পাওয়ায় ৩০২/৩৪ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫,০০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। রায়ের পর থেকে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী আরশাদ@ আসাদ (৪৫) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে রয়েছে মর্মে তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

 

 

 

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ ১৭.০০ ঘটিকায় ঢাকার কোতয়ালি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অন্যতম আসামি আরশাদ@ আসাদ (৪৫), পিতা-মোঃ শহিদ উল্লাহ, থানা-যাত্রাবাড়ী, জেলা-ঢাকা’কে দীর্ঘ ২৬ বছর পলাতক থাকার পর গ্রেফতার করে। আত্মগোপনে থাকাকালীন সে পরিচয় লুকিয়ে বাস কাউন্টারের টিকেট বিক্রয়ের কাজ করতো বলে জানায়। প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র‌্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

শিহাব করিম, সিনিঃ এএসপি
সিনিঃ সহকারী পরিচালক
(মিডিয়া)
পক্ষে অধিনায়ক
মোবাঃ ০১৭৭৭-৭১০২০৩