প্রেস বিজ্ঞপ্তি
পিরোজপুর কাউখালী থানার চাঞ্চল্যকর ১৩ বছর বয়সী শিশু মুক্তাকে ধর্ষনের পর হত্যা ও লাশ গুমের মামলার প্রধান আসামী মোঃ পারভেজ মহাজন (৩৬)’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, ধর্ষণকারী, পর্ণোগ্রাফি বিস্তারকারী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভিকটিম মুক্তা (১৩), পিতা- মোঃ হিরু মহাজন, থানা- কাউখালী, জেলা-পিরোজপুর। বিবাদী মোঃ পারভেজ মহাজন (৩৬), পিতা- মোঃ ফোরকান মহাজন, সাং- আসপদ্দি, থানা- কাউখালী, জেলা- পিরোজপুর ভিকটিম এর পড়শী হয়। উক্ত আসামী ভিকটিমের বড় বোন হিরা (১৬) কে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দেয়। হিরা এ বিষয়ে তার পিতা-মাতাকে জানালে তার পিতা-মাতা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবহিত করে।
এতে আসামী পারভেজ মহাজন ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৭/০৪/২০১৮ তারিখ বিকাল ১৫.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম এর বাড়িতে এসে ভিকটিম এর পিতা-মাতাকে বলে যে, ভিকটিম মুক্তা অথবা ভিকটিম এর বোন হিরাকে ০১/০৫/২০১৮ তারিখে মধ্যে অপহরণ করে নিয়ে যাবে না হয় দুনিয়ারা থেকে বিদায় করে দিবে। ভিকটিম মুক্তা গত ৩০/০৪/২০১৮ তারিখ বেলা অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় নিজ বাড়ির পোলের উপর বৃষ্টিতে ভিজতে ছিল সে সময় ভিকটিম এর বড় বোন হিরা তাকে বাসায় আসতে বললেও সে বাসায় না এসে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে।
একপর্যায়ে বিকাল ১৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত ভিকটিম মুক্তা বাড়িতে না আসায় তার পিতা-মাতা সহ আত্বীয় স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন জানায় ভিকটিমকে তাদের বাড়ীর সামনে পোলের উপর বর্ণিত আসামীর সাথে কথা বলতে দেখেছে। পরবর্তীতে স্থানীয় একজন লোক মাধ্যমে জানতে পারে যে, জনৈক হারুন এর মুদি দোকান সংলগ্ন পশ্চিম পাশে মেরাজ আলী শেখের ব্রীজের নিচে দারগা বাড়ির জোয়ার ভাটা খালে একটি ভাসমান লাশ দেখা যাচ্ছে। সংবাদ পেয়ে ভিকটিম এর পিতা-মাতা ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়া ভিকটিম মুক্তার লাশ সনাক্ত করে।
এ সংক্রান্তে ভিকটিম এর মাতা মোসা. শানু বাদী হয়ে উক্ত আসামী আরো একজনকে বিবাদী করে পিরোজপুর জেলার কাউখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যার নম্বর-১, তারিখ ০১/০৫/২০১৮, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১ বর্ণিত হত্যার আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত ০০.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ক) জিআর- ৩৫/১৮(ক), দায়রা মামলা নং- ৪২১/১৯, পিরোজপুর কোট প্রসেস নং-৪৪, তারিখ- ২৬/০২/২৩ খ্রি., ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(২) তৎসহ ২০১ পেনাল কোড এবং খ) পিরোজপুর কাউখালী থানার মামলা নং-৭, তারিখ- ১৯/১২/২০২২ খ্রি. ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬(১) সারণির ১০ (ক) এর “ক” সূত্রোক্ত মামলার ভিকটিমকে হত্যা করতঃ ভিকটিমের লাশ গুম করার মূল আসামী এবং সূত্রোক্ত “খ” মাদক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত দীর্ঘ দিনের পলাতক আসামী মোঃ পারভেজ মহাজন ডিএমপি ঢাকা কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকায় অবস্থান করছে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষনের পর হত্যা মামলার পলাতক আসামী মোঃ পারভেজ মহাজন (৩৬), পিতা- মোঃ ফোরকান মহাজন, সাং- আসপদ্দি, থানা- কাউখালী, জেলা- পিরোজপুর’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
স্বাক্ষরিত/-
মোঃ পারভেজ রানা
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার
সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার)
অধিনায়কের পক্ষে
মোবাঃ ০১৭৭৭৭১০১০৩।